গণপিটুনিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে : হাই কোর্ট
টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:০৮:৫৩,অপরাহ্ন ২৬ আগস্ট ২০১৯ | সংবাদটি ৭৯৫ বার পঠিত
গণপিটুনি প্রতিরোধ এবং এতে জড়িত দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানাতে চেয়েছে হাই কোর্ট। স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে আগামী ২৮ নভেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেয়।
গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনুসহ নিহতদের জীবন রক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং গণপিটুনিতে নিরীহ মানুষের জীবন রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, শিক্ষা সচিব, পুলিশের আইজি, ডিএমপি কমিশনার ও বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ২০ জুলাই ঢাকার বাড্ডায় গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনুর মৃত্যুর ঘটনায় করা এক রিট আবেদনের সম্পূরক আবেদনে হাই কোর্ট এ আদেশ দিয়েছে বলে জানান আবেদনকারীর আইনজীবী ইশরাত হাসান। বাংলাদেশে গণপিটুনিতে নিহতের ঘটনা বহু আগে থেকে ঘটে এলেও সম্প্রতি একটি গুজবে ছেলেধরা সন্দেহে দেশজুড়ে একের পর এক ঘটতে থাকে। এতে অর্ধ শতাধিক নিরীহ মানুষ মারা যান। গত ২০ জুলাই রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় মেয়েকে ভর্তি করানোর তথ্য জানতে স্থানীয় একটি স্কুলে গিয়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন তাসলিমা বেগম রেনু (৪০)।
অ্যাডভোকেট ইশরাত বলেন, সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্র বা সরকার ব্যক্তির নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। স্বাধীনভাবে ব্যক্তির জীবনধারণের অধিকারকে খর্ব করেছে। এই গ্রাউন্ডে আমরা রিটটি করেছিলাম। আদালত রুলসহ অন্তবর্তী আদেশ দিয়েছেন। গণপিটুনি রোধে প্রতিটি জেলায় পুলিশ সুপারের নিচে হবে না এমন পদমর্যাদার একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছিল রিট আবেদনে।