ছিনতাইয়ে বাধা পেয়ে দুই বছরের ব্যবধানে দুই খুন : ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে আতিক
টাইম সিলেট
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:২২:২৯,অপরাহ্ন ০৫ জুন ২০২০ | সংবাদটি ১৯০৪ বার পঠিতভয়ঙ্কর এক ছিনতাইকারী, একটু বাধা পেলে খুন করতেও যার হাত কাঁপে না। দুর্ধর্ষ এ ছিনতাইকারী দক্ষিণ সুরমা
ভার্থখলা (স্বনালী-৬০, ব্লক-বি) এলাকার মির্জা আফতাবুল ইসলাম (মকবুল) এর ছেলে মির্জা আতিক (২৬)।
ছিনতাইয়ে বাধা পেয়ে ২০১৮ সালের ২৫ মার্চ রাতে সিলেট নগরের কদমতলী এলাকায় শাহাজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) ছাত্র মাহিদ আল সালামকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছিলো সে। এর পর তাকে আটক করে পুলিশ। আটকের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছিল মির্জা আতিক। মাহিদ হত্যা মামলায় জামিনে বের হয়ে সে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে। একের পর এক ঘটাতে থাকে ছিনতাইয়ের ঘটনা।
দুই বছর পর গত ২৬ মে একই রকম ঘটনা সে ঘটিয়েছে আবারো। মির্জা আতিকের ছুরির আঘাতেই খুন হয়েছেন শহরতলির জালালাবাদ থানাধীন তেমুখি ইনাতাবাদ এলাকার সুলতান আহমদের ছেলে আমির হোসেন (২৫)। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যেও ছিনতাইকারী মির্জা আতিকই জড়িত। বুধবার আদালতের মাধ্যমে পুলিশ মির্জা আতিক ও আওলাদ হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে দক্ষিণ সুরমার কদমতলী থেকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখের নেতৃত্বে পুলিশ আটক করে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলার আফতাবুল ইসলামের ছেলে মির্জা আতিককে। পুলিশের এ অভিযানে ছিলেন কোতোয়ালি থানার সহকারী কমিশনার নির্মলেন্দু চক্রবর্তী, ওসি সেলিম মিঞা, ওসি (তদন্ত) সৌমেন মৈত্র, এসআই দেবাশীষ দেব,মো. ইবাদুল্লাহ। গ্রেপ্তার করা হয় তার সঙ্গী সিএনজি অটোরিকশাচালক দক্ষিণ সুরমার সিলাম টিলাপাড়ার সামছু মিয়ার ছেলে আওলাদ হোসেন। আটক করা হয়েছে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত অটোরিকশাও। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। ছিনতাইয়ের সময় বাধা পেয়েই তারা আমির হোসেনকে হত্যা করেন।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, তদন্তে নেমে পুলিশ নিশ্চিত হয় ছিনতাইকারীরাই আমির হোসেনকে হত্যা করেছে। পুলিশ যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে এর মধ্যে মির্জা আতিক আগেও এ রকম ঘটনা ঘটিয়েছে। মির্জা আতিকের সাথে ছিনতাইয়ের এ সিন্ডিকেটে আর কারা জড়িত পুলিশ তাদেরও খুঁজে বের করা চেষ্টা করছে।
২৬ মে রাতে সিলেট নগরীর সুবিদবাজারে ছুরিকাঘাতে খুন হন আমির হোসেন (২৫)। পল্লবী কমিউনিটি সেন্টারের সামনে দিয়ে বাইসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন আমির হোসেন। তখন কয়েকজন যুবক তাকে পথরোধ করে। তারা আমিরের বাম পায়ের উরুতে বড় আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।হত্যার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ঘাটিত না হলেও তদন্তে নেমে পুলিশ নিশ্চিত আমির হোসেন ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছিলেন। ছিনতাইকারীরাই তাকে হত্যা করে।