উপজেলা চেয়ারম্যানের অনিয়ম,দায়িত্বহীনতার কারণে দেড় বছরেও নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগ বন্ধ!
টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৫৩:১৭,অপরাহ্ন ০৮ আগস্ট ২০২০ | সংবাদটি ৩৮৫ বার পঠিতনিজস্ব প্রতিবেদক:
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলাধীন দুটি ইউনিয়নের নিকাহ্ ও তালাক রেজিস্ট্রার পদটি শূণ্য হওয়ার পর ১ বছর ১০ মাসেও চুড়ান্ত হয়নি এ পদটি! অভিযোগ উঠেছে নিয়োগ কমিটির সদস্য, ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মইনুল হক চৌধুরীর ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে ইচ্ছাকৃতভাবে আইন বহির্ভূত নিয়ম ব্যবহার করার কারণে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া বার বার বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
জানা যায়, অবসরজনিত কারণে ওসমানীনগর উপজেলার ৫ নং গোয়ালাবাজার ও ৬ নং তাজপুর ইউনিয়নের নিকাহ্ ও তালাক রেজিস্ট্রার পদটি শুণ্য হয়ে পড়ে। উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সচিব ও ওসমানীনগর উপজেলা সাব-রেজিস্টার বিধি-মোতাবেক ২০১৮ সালে ১০ অক্টোবর গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের ও ২০১৯ সালের ২ জুলাই তাজপুর ইউনিয়নের নিকাহ্ ও তালাক রেজিস্ট্রারের শূণ্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এতে দুই ইউনিয়নে প্রায় অর্ধশত প্রার্থী আবেদন করেন। বিধি মোতাবেক ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে নিয়োগ প্রার্থীদের মধ্যে মনোনীত ৩ জনের প্যানেল করে সরকারের নিকট প্রেরণ করার কথা থাকলেও ১ বছর ১০ মাসেও তা করা হয়নি।
স্মারক নং-২২৪(৬) এর আলোকে গত ৫ আগষ্ট সর্বশেষ সভার আহবান করা হয় এবং নিয়োগ কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত হয়ে তিন জনের প্যানেল গঠন করেন। কিন্তু নিয়োগ কমিটির সদস্য ও ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা ময়নুল হক চৌধুরী ‘অজানা কারণে’ উপস্থিত না হওয়ায় তা চুড়ান্ত হয়নি বলে জানা যায়।
নিজের স্বার্থ সিদ্ধির উদ্দেশ্যে নিয়োগ কমিটির সদস্য ও ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইচ্ছাকৃতভাবে নিয়মের বাইরে গিয়ে নিকাহ তালাক রেজিস্ট্রার বিলম্ব করার উদ্দেশ্যে নানা ধরনের অপকৌশল ও নিয়ম বহির্ভূত প্রদক্ষেপ গ্রহন করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি নিজের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য ও স্বার্থ সিদ্ধি হাসিলের উদ্দেশ্যে নানা অপকৌশল করছেন।
কোন ধরনের নিয়ম না থাকা সত্ত্বেও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মইনুল হক চৌধুরী ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপে নিকাহ্ ও তালাক রেজিস্ট্রার নিয়োগের জন্য আবেদনকারী অর্ধশত প্রার্থীর নামে গত ২৯/১২/২০১৯ ইং পুলিশ ভেরিফিকেশনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। যা গত ২১ জুলাই ডিএসপি দপ্তর হতে ফেরত আসে। এতে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি আরো জটিল হয়ে উঠে। অন্যদিকে বিধি মোতাবেক প্রার্থীর বয়স ৪০ বছরের ভিতরে হতে হবে বলে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া দীর্ঘ হওয়ার কারণে অনেক প্রার্থীর বয়স চলে যাওয়ায় তারাও চিন্তিত হয়ে পড়ছেন! অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী কাজী নিয়োগ না হওয়ার কারণে বাল্যবিয়েরও প্রকোপ বাড়তে পারে বলেও অনেকে মনে করছেন। যথা সময়ে এই দুইটি ইউনিয়নের নিকাহ্ ও তালাক রেজিস্ট্রার নিয়োগ না হওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত মানুষ নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ওসমানীনগর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার ইউনুছ আলী নিয়োগ সক্রান্ত বিষয় নিয়ে সিলেট জেলা-রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেন।
এব্যাপারে নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ও ওসমানীনগর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার বলেন,মো: ইউনুছ আলী, নিয়োগ কমিটির সদস্য ও ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নুল হক চৌধুরী ও সিলেট জেলা-রেজিস্ট্রার দ্বীপক কুমার সরকার (০১৭১৩১১৬৪৩৬) সাথে একাধিবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তারা কেউই ফোন ধরেননি।