এমসিতে গণধর্ষণ: অস্ত্র মামলায় ৩ দিনের রিমান্ডে রনি
টাইম সিলেট
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:২১:৩৪,অপরাহ্ন ১৯ অক্টোবর ২০২০ | সংবাদটি ২৭৩ বার পঠিতএমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গৃহবধূ গণধর্ষণ মামলার আসামি ও ছাত্রলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান রনিকে অস্ত্র মামলায় তিনদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (১৯ অক্টোবর) সকালে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশের পক্ষ থেকে ৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান এ আদেশ দেন।
এর আগে অস্ত্র মামলায় সাইফুর রহমানকে রিমান্ডে নিয়েছিল পুলিশ।
সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারি কমিমশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন গৃহবধূ। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই গৃহবধূকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে বেঁধে রাখা হয়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে এসএমপির শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।
ঘটনার দিন মধ্যরাতে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানকালে পুলিশ একটি বিদেশি পিস্তল, চারটি রামদা, দুটি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়। ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমানের কক্ষ থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরদিন শনিবার সকালে মামলার আসামি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা এম সাইফুর রহমানকে (২৮)আসামি করে ও পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
গণধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তরা হল- এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান, কলেজের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, অর্জুন লস্কর, বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল এবং তারেক আহমদ। মামলার অপর তিন আসামি অজ্ঞাত।
এজাহারভুক্ত ছয় আসামিসহ মোট আটজনকে গ্রেফতার করে পাঁচদিন করে প্রত্যেককে রিমান্ডে নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইতোমধ্যে রিমান্ড শেষে সবাই কারাগারে রয়েছে।