৩ মামলায় বাবর, আরিফসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৫০:৪৪,অপরাহ্ন ২৩ অক্টোবর ২০২০ | সংবাদটি ২৮৭ বার পঠিতবিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জের সাবেক মেয়র জিকে গৌছসহ ৩ টি মামালায় মোট ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
এ তিন মামলার মধ্যে ২০০৪ সালে দিরাইয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সমাবেশে গ্রেনেড ছোঁড়া ও মানুষ হত্যা করার পৃথক ২টি মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। একই সাথে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে আওয়ামী লীগের ঈদ-পরবর্তী জনসভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়া। তাঁর এ ঘটনায় হওয়া ২টি মামলার মধ্যে বিস্ফোরক ছোঁড়ার মামলায় অভিযোগ গঠন হলেও হত্যা মামলায় সাক্ষী উপস্থিত না থাকায় অভিযোগ গঠন করা হয়নি।
বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট সরওয়ার আহমদ চৌধুরী।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতে বাবর, আরিফসহ মোত ১১ জনকে হাজির করা হয়। এসময় সিলেট সিটি কর্পরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নিজে আদালতে হাজির হলেও বাকি সকলকে সিলেটের কেন্দ্রিয় কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে হাজির করা হয়। বৃহস্পতিবার এ ৪টি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের ধার্য তারিখ ছিলো।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা শেষে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া, তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ ৫ জন। এ ঘটনায় আহত হন ৭০ জন।
ঘটনার পরদিন আবদুল মজিদ খান বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করেন। পরে মামলা দুটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। তদন্ত শেষে ২০০৫ সালে ১৮ মার্চ শহীদ জিয়া স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে একটি অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। এই অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি আবেদন করেন বাদী মজিদ খান। পরে ২০০৭ সালে মামলাটি পুনঃ তদন্তের জন্য ফের সিআইডিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
মামলার পঞ্চম তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মেহেরুন্নেসা পারুল সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে নতুন করে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপির নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, মাওলানা তাজউদ্দিনের ভগ্নিপতি হাফেজ মো. ইয়াহিয়াসহ আবু বকর, দেলোয়ার হোসেন, শেখ ফরিদ, আবদুল জলিল ও মাওলানা শেখ আবদুস সালামকে আসামি করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে বোমা হামলা ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়।
এর আগে ২০০৫ সালের ১৮ মার্চ প্রথম দফায় ১০ জনের বিরুদ্ধে ও দ্বিতীয় দফায় ২০১১ সালের ২০ জুন আসামির সংখ্যা ১৬ জন বাড়িয়ে ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে দুজন ভারতে মারা যান। আর তৃতীয় দফায় আসামির সংখ্যা আরও নয়জন বাড়িয়ে এ মামলায় মোট আসামি করা হয় ৩৫ জনকে।