সিলেট কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়াডিং এজেন্ট প্রুপের মতবিনিময় সভা
টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৩৯:২৬,অপরাহ্ন ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | সংবাদটি ২০৬ বার পঠিত
বিয়ানী বাজার শেওলা স্থলবন্দরে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট
ও সোনালী ব্যাংকের শাখা স্থাপন না করায়
ক্ষোভ প্রকাশ
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্প্রতি বিয়ানী বাজার শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে অটোমেটেড সিস্টেম ফর কাস্টমস ডাটা’র মাধ্যমে আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আদেশ জারী করলেও দেশের আমদানী-রপ্তানীতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা সিলেটের শেওলা স্থলবন্দরে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা ও সংলগ্ন এলাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত¡ সোনালী ব্যাংকের কোন শাখা স্থাপনের কোন উদ্যোগ না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সিলেট জেলা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়াডিং এজেন্ট গ্রæপ।
সিলেট জেলা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়াডিং এজেন্ট গ্রæপের সভাপতি মো.বশিরুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অজি মোহাম্মদ কাওছারের সঞ্চালনায় গতকাল শনিবার বেলা ২টায় গ্রæপের জিন্দাবাজারস্থ ওভারসিজ সেন্টারস্থ কার্যালয়ে আয়োজিত কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়াডিং এজেন্টদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বক্তারা বলেন, সপ্তাহে শুক্রবার,শনিবার এবং ভারতীয় রোববার স্থল বন্ধর মোট ৩দিন বন্ধ থাকে। দেশের আমদানী-রপ্তানীতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা সিলেটের শেওলা স্থলবন্দরে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা ও সংলগ্ন এলাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত¡ সোনালী ব্যাংকের কোন শাখা না থাকায় স্থলবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে সময়মত বিল অব এন্ট্রি ও বিল অব এক্সপোর্ট আপলোড করা যাচ্ছে না। সেই সাথে বিয়ানী বাজারে বিল জমা দিতে যাতায়াত যেমনি ঝুঁকিপূর্ণ তেমনি ব্যয় হচ্ছে অতিরিক্ত সময়। ফলে স্থলবন্দর এলাকায় আটকা পড়ছে বিপুল সংখ্যক ট্রাক। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্প্রতি এই স্থলবন্দর দিয়ে অটোমেটেড সিস্টেম ফর কাস্টমস ডাটা’র মাধ্যমে আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ¯’ল বন্দরের অবকাটামো,ইন্টারনেট সেবা ও ব্যাংক সুবিধা নিশ্চিত না করে এ আদেশ জারী অপরিকল্পিত ও অযৌক্তিক। এতে যেমনি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পাদন করতে পারে না। তেমনি আমদানী রপ্তানী সংক্রান্ত শুল্ক কর পরিশোধ করা সম্ভব হয় না। এ অবস্থায় আমদানী-রপ্তানী কারকরা নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন এবং পন্যবাহী ট্রাকগুলো ২/১ দিন অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় অন্ত নেই। যার ফলে আমদানী-রফতানীকারদের গাড়ির ডেমারেজ (বিলম্ব শুল্ক) বাবদ বিপুল অর্থ দিতে বাধ্য হন। বক্তারা বলেন, শেওলা স্থলবন্দরে বিগত ২০২১-২২ অর্থ বছরে রপ্তানী শুল্ক আয় ৩১ কোটি টাকা এবং আমদানী শুল্ক আয় প্রায় ৩৭ কোটি টাকা। কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টসহ আমদানীকারকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ এর কার্যক্রম পৌছে দিতে এ স্থল বন্দরে দ্রæত ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করা এবং শুল্ক স্টেশনের কাছাকাছি সোনালী ব্যাংকের শাখা স্থাপন করার জন্য কমিশনারসহ সংশ্লিস্ট কর্তপক্ষের প্রতি জোর দাবী জানান। সেই সাথে শেওলা ব্রিজ থেকে কাস্টমস্ অফিস পর্যন্ত সড়কটি স্থায়ী ও টেকসই উন্নয়ন করার জন্য সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান।
সভায় বক্তব্য রাখেন- সিলেট জেলা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়াডিং এজেন্ট গ্রæপের সাবেক সভাপতি ও সিলেট চেম্বারের সাবেক সহসভাপতি আলহাজ্ব শাহ আলম, গ্রæপের সাবেক সভাপতি বজলুর রহমান বাবুল,সুব্রত ধর চৌধুরী পার্থ, সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট চেম্বারের পরিচালক ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী রাজিব, উপদেষ্টা পরিষদের আহŸায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি,গ্রæপের কোষাধ্যক্ষ মো আব্দুর রকিব, জেনারেল কার্গো ইউকে’র সিইও মিঠু পাল,কার্গো ক্লিয়ারিং হাউজ এর পক্ষে রাজু আহমদ জালাল, মেসার্স শরিফ ব্রাদার্স এর সৈয়দ সাকিরুজ্জামান, মহানগর ফরেন এজেন্সি লি:এর সালাহ উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।