সিলেটে এলজিইডি’র ঠিকাদারদের স্ট্রাইক!
টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৩০:০৪,অপরাহ্ন ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | সংবাদটি ১৯৩ বার পঠিতরেইট সিডিউল সংশোধন না করলে আগামী অক্টোবর পর্যন্ত সিলেট বিভাগে এলজিইডির টেন্ডারে অংশ নেবেন না ঠিকাদাররা। বুধবার (১৪ই সেপ্টেম্বর) এলজিইডি সিলেট অঞ্চলের ঠিকাদারদের এক যৌথসভায় এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
এলজিইডি কন্ট্রাক্টর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে দুপুরে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে এ সভার আয়োজন করা হয়। এতে সিলেট জেলা ছাড়াও সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের ঠিকাদাররা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ঠিকাদার নেতৃবৃন্দ বলেন- করোনা মহামারীকাল থেকে ঠিকাদাররা এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছেন। করোনার সময়ও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রণোদনা পাননি। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কটের অজুহাতে বর্তমানে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের বিল প্রদানে বিলম্ব করা হচ্ছে। পরপর দু’বারের ভয়াবহ বন্যায় চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অনেক ক্ষতি হয়েছে। নির্মাণাধীন অনেক রাস্তা বন্যার ঢলে ভেসে গেছে ও নষ্ট হয়েছে। নির্মাণ ও মেরামত প্রকল্পের আওতায় ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তাগুলোর পুনঃপ্রাক্কলনের জন্য আবেদন করা হলেও কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সাড়া মিলেনি। এতে চলমান অনেক প্রকল্প সমাপ্ত করতে ঠিকাদাররা লোকসানে পড়ে পুঁজিও খুইয়েছেন ।
সভায় তারা আরো বলেন- ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের শুরুতে এলজিইডির নতুন রেইট সিডিউলে আমরা আশাহত হয়েছি। কারন- সরকার কর্তৃক ঘোষিত রেইট সিডিউল বাস্তবতার সঙ্গে অসঙ্গতি ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ। রেইট সিডিউলে কাজ করলে ঠিকাদারদের রডের দাম কেজি প্রতি ২৩ টাকা, সিমেন্টে দাম প্রতি ব্যাগে ১৪৫ টাকা, ইটের দাম প্রতিটিতে ৪ টাকা, বিটুমিনের প্রতি কেজিতে ১৫ টাকা ও ডিজেল প্রতি লিটারে ২৯ টাকা নিজ পকেট থেকে ভুর্তকি দিতে হবে। এতে টেন্ডারে অংশ নিলে লোকসান হবে। এ কারনে এলজিইডির সিলেট জেলার ঠিকাদাররা ২৫ শে আগষ্ট সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে ৩০ আগষ্ট থেকে সিলেটে সকল ধরনের টেন্ডারে অংশ গ্রহন থেকে বিরত থাকছেন। পাশাপাশি সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের ঠিকাদার ওয়েলফেয়ার এসোসিশেনের নেতৃবৃন্দও সিদ্ধান্ত নিয়ে অনুরূপ ভাবে টেন্ডারে অংশ নিচ্ছেন না। এদিকে- সভায় ঘোষনা দেওয়া হয়; নতুন রেইট সিডিউল সংশোধন না করলে আগামী ৩০ শে অক্টোবর পর্যন্ত
সিলেট বিভাগের ঠিকাদাররা এলজিইডির সকল টেন্ডারে অংশ থেকে বিরত থাকবেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা কন্ট্রাক্টর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি রাখাল দে। সংগঠনের সাধারন সম্পাদক শামীম আহমদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন- সুনামগঞ্জ জেলা কন্ট্রাক্টর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক শংকর কুমার দেব, হবিগঞ্জ জেলা কন্ট্রাক্টর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নুরুজ্জামান চৌধুরী, সদস্য সচিব গোলাম ফারুক, মৌলভীবাজার জেলা কন্ট্রাক্টর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের প্রতিনিধি মহিউদ্দিন ফহিম চৌধুরী, তাজুল নোমান, সিলেট জেলা কন্ট্রাক্টর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক এনায়েত আহমদ মনি, প্রধান উপদেষ্টা
শিব্রত ভৌমিক চন্দন, উপদেষ্ঠা গোলাম কিবরিয়া। সভায় সিলেট, মৌলভীবাজার , সুনামগঞ্জ ,হবিগঞ্জ ও ১৩ উপজেলার কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।