হার্ট দিবসে সিলেটে হার্টসেবার নিদারুণ খবর
টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৫৯:৫৬,অপরাহ্ন ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ | সংবাদটি ১৯৮ বার পঠিতআজও গিয়েছিলাম সিলেট হার্ট ফাউন্ডেশনে আমার প্রিয় চিকিৎসক প্রফেসর ডা. খালেদ মহসিনের কাছে। সন্ধ্যা ৬টায়, ফলোআপে। আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে হয়ত আর ওদিকে মুখ বাড়াতো না। মরতে মরতেও যেখান থেকে কপালের জোরে বেঁচে ফিরেছি, সেই মরণ ফাঁদে আবার নিজের কল্লা পেতে দিতে কেউ যায়? আমি গিয়েছি। দেখি, তারা সামান্য হলেও তারা পাল্টালো কি-না! আমার নিভু নিভু আশার আলো আবার জ্বালাতে পারলো কি-না! (বলে রাখা ভাল যে, ফলোআপের সব পরীক্ষা আমি বাইরে থেকে করিয়েছি, তাদের ওখানে করানোর সাহস করতে পারিনি, দুঃখিত!)
আসলে যার যে আচরণ মোহরাঙ্কিত হয়ে আছে, সে এতোটা সহজে বদলায় কীভাবে! আজও চিকিৎসক তার স্বভাবসুলভ অমায়িক আচরণ করলেন। কিন্তু তিনি ছাড়া চিকিৎসকের সহকারী, গেটম্যানের যে রুঢ় আচরণ দেখলাম; পেলাম। যে ভাষার ব্যবহার উপহার দিল, তাতে বারবার মেজাজটাই বিগড়ে যাচ্ছিল!
যে ভাষা তারা সুন্দর করে ব্যবহার করতে পারতো, সেটি করেছে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাবে। গেটম্যান ডাকলে আমি আর আমার স্ত্রী ডাক্তারের চেম্বারে যাচ্ছিলাম। সে আটকালো— একজন যাবেন। হয় রোগী না হয় অন্য কেউ। আমি অনুরোধ করে বললাম, যদি সম্ভব হয় তাহলে দুজন যাই? যাওয়া যাবে?
আমি কিন্তু অনুরোধের সুরেই বলেছিলাম। যাবই বা যেতে দিতেই হবে এই দাবি করিনি বা জোরও করিনি। সে যা বলল, আপনারা শোনলেই বোঝতে পারবেন, তাদের দাম্ভিকতা কোন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে!
— ‘কয়দিন আগে মেয়র আরিফও এসেছিলেন। তার সাথেও স্যারের কাছে আর কাউকে যেতে দেয়া হয় নি!’
শুনে আমি আর কোন কথা বললাম না। শুধু ভাবলাম, চাইলে সে এ কথা অন্যভাবেও বলতে পারতো। ‘ওটির পাশের এরিয়া। যাওয়া বারণ আছে, সরি!’
নিশ্চয়ই এভাবে বললে হাতকড়া পরে চেম্বারে যেতে বললেও যেতাম! আসলে ছোটবেলা থেকে একটা কথা শুনে আসছি, কেউ রুঢ় বা কঠিন বা তেতো কথা বললে মানুষ মন্তব্য করে, জন্মের সময় মনে হয় মুখে মধু দেয়া হয়নি!
আজও কেন জানি মনে হচ্ছে, সিলেট হার্ট ফাউন্ডেশনের শুরুর সময়ে মনে হয় মুখে মধু দেয়া হয়নি। তাই শত কথা, হাজারও মানুষ প্রত্যাশা জানানোর পরও তাদের চরিত্র, রোগী ও অভিভাবকের সাথে তাদের আচরণ একটুও পাল্টাচ্ছে না। আগের মতই আছে! আর মনে হয় না এরা ঠিক হবে। অথচ ভেবে নিয়েছিলাম, হয়ত আমাদের আহাজারি, আমাদের এই কয়দিনের প্রত্যাশায় তারা একটু হলেও আরও বন্ধুসুলভ হবে। আরও একটু ভাল ব্যবহার দেখাবে! এতটা হতাশ কেন আমাদের হতে হয় বারবার? সাংবাদিক সালমান ফরিদ