আজকের নবীন অফিসাররাই হবে ৪১-এর সৈনিক : প্রধানমন্ত্রী
টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৫৮:৩১,অপরাহ্ন ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ | সংবাদটি ২১১ বার পঠিতপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমাদের আজকের নবীন অফিসাররাই হবে ৪১-এর সৈনিক, যারা বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে। লক্ষ্য স্থির রেখে আমরা এগিয়ে যাবো, এটাই চাই। দেশের দুর্যোগ-দুর্বিপাক সব ক্ষেত্রেই সেনাবাহিনী যথাযথ ভূমিকা পালন করবে এটা আশা করছি।
আজ রোববার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীর বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) প্রেসিডেন্ট কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এসময় উপস্থিত ছিলেন। বিএএম থেকে প্রধানমন্ত্রী বিকেল ৩ টায় পলোগ্রাউন্ড মাঠের সমাবেশে যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন দায়িত্ব নেন। তার একটাই লক্ষ্য ছিল, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক সশস্ত্র বাহিনী, এই বাহিনীকে তিনি আরও পেশাদার ও শক্তিশারী হিসেবে গড়ে তুলবেন। ১৯৭৪ সালে কুমিল্লা সেনানিবাসে মিলিটারি একাডেমির শুভ উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭৫ সালের ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নবীন সামরিক অফিসারদের পেশাগত দক্ষতা, নৈতিক গুণাবলী সম্পন্ন এবং দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেদের গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দীর্ঘ ২১ বছর পর (১৯৯৬ সাল) আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে।
আমরা সরকার গঠনের পরই ১৯৭৫ সালের পর আমাদের যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস হারিয়ে যেতে বসেছিল বা বিকৃত করা হয়েছিল, তা পরিবর্তন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এবং আদর্শে যাতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী গড়ে ওঠে, আমরা সেই পদক্ষেপ নিই। সামরিক বাহিনীকে আধুনিক করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিই।’
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ জাতির পিতা যখন গড়ে তুলছেন, রিজার্ভ মানি ছিল না এক টাকাও। তার সাথে সাথে কারেন্সি নোট ছিল না। তখনও সেনা বাহিনীর জন্য তিনি ট্যাংক কিনে আনেন এবং অন্যান্য সমরাস্ত্র ক্রয় করে অনেক শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়ে তোলার পদেক্ষপ নেন। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই আমরা সেনাবাহিনীকে আরও যুগোপযোগী করার জন্য আমি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি) প্রতিষ্ঠা করে দিই। সেনাবাহিনীতে ২০০০ সালে প্রথম দীর্ঘ মেয়াদি কোর্সে নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিই।’copy manobzomin