আজ থেকে জুয়েল সাদত আখাউড়ার নাগরিক – মেয়র তাজকিল খলিফা কাজল
"আখাউড়ায় নাগরিক গন সম্বর্ধনা"

টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:২৫:৪২,অপরাহ্ন ১৩ মার্চ ২০২৩ | সংবাদটি ২৭৫ বার পঠিত
জীবনের একটি স্বরনীয় দিন, ১২ মার্চ সিলেট থেকে আমার ৫ জনের টীম নিয়ে বের হতে সকাল ৯ টা বাজে। সিলেট ঢাকা সড়কের ১ লাইন দিয়ে আমাদের বিলাসবহুল গাড়ীটি চলতে থাকে। ১১/১২ টা বাজতে থাকে, আখাউড়া থেকে ফোনের উপর ফোন মেয়র বসে আছেন। আজ আমার আখাউড়ায় সারাদিনের তিনটি অনুস্টান। দুটো প্রতিষ্ঠান উদ্ভোধন হবে। দৃষ্টিনন্দন সিলেট ঢাকা সড়কের দুপাশে ইকোনকিক জোনের বিস্তৃতি। দুপুর সাড়ে বারোটার কিছু পরে সৌজা আখাউড়া পৌরসভায় যাই। যাবার পথে আমাকে এসকট করে নিয়ে যাওয়া হয়,সেখানে পৌর কার্যালয়ে স্বাগত কালিকাপুর এর মেম্বার সহ অনেকেই।। আখাউড়ার তিন বারের মেয়র তানজিল খলিফা কাজল অফিসে বসে অপেক্ষায়। স্বাগত জানান আমাদের, অসম্ভব ব্যাস্ত দাপ্তরিক কাজে ব্যাস্ত ।
আমাদের বসিয়ে রেখে তিনি নাগরিক সোবা দিচ্ছিলেন। আমাদের নিয়ে নিয়ে বসেন। আমার সাথে আমার বহরে সাংবাদিক খালেদ,ফাহিম আহমদ, নজমুল ইসলাম ও রুহুল আমিন। আমাদের কে চা পরিবেশন করা হয়, কাজল ভাই উনার পাশে আমাকে বসিয়ে সমসাময়িক নানা বসিয়ে কথা বলেন।
চম্যকার একটি সুন্দর সময় কাটে। মেয়র কাজল ভাই একজন ডায়নামিক মেয়র। অসম্ভব জনপ্রিয়, শত শত মানুষ পৌর কার্যালয়ে, ভীষন ব্যাস্ত। আমাকে আমাদের তিনি মেহমানদারি করান।। সকাল ১০ টা থেকে অপেক্ষায়। ঘন্টা খানেক পর, আমাদের নিয়ে বের হন আগরতলা চেক পোস্ট এলাকায়,কালিকাপুর -চন্দরপুর আমার মাদরাসায়। আমাকে তিনি উনার গাড়ীতে তুলেন। আমাদের গাড়ী উনাকে ফলো করে, আমাদের দুটো গাড়ীর সামনে এলাকার যুবকদের ও ছাত্রলীগের মোটরসাইকেল বহর।
গাড়ীতে মেয়র কাজল ভাই ও আমি, আমাদের মধ্যে নানা বিষয়ক আলোচনা চলতে থাকে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের অতি ঘনিষ্টজন মেয়র। আনিসুল হকের অনেক গুনের কথা জানলাম। আমরা দুজন দেশ সমাজ, রাষ্ট্র, আখাউড়ায় উন্নয়ন, পারিবারিক বিষয়াদি, উনার ক্যারিয়ার সহ নানান বিষয় আলোকপাত করি। সাবেক বিচারপতি জনাব সিনহা কি ভুল করেছিলেন, আইনমন্ত্রী প্রথম নোটিশ করেছিলাম জানলাম, আখাউড়ায় একবার রেল স্টেশন পোড়ানো হয়। এ রকম নানা বিষয় নিয়ে গাড়ীর মধ্যে আমাদের আলোচনা। আখাউড়ার সরকারের মডেল মসজিদ দেখালেন।
তারপর গাড়িটি সাদত দারুস সালাম মাদরাসায় পৌছে। শত শত মানুষ সকাল ৯ টা থেকে বসা, আমাকে দেখার জন্য। শুভেচ্ছা জানিয়ে স্লোগান হচ্ছে।। লজ্জায় আমার মাথা যায়।
। যুবক,মুরব্বি, মহিলারা দুরে থেকে , মৌলানা, হাফিজ, প্রবীণ ও এলাকার মানুষ ঘিরে বসেন।। মেয়র কাজল ভাই আমাকে নিয়ে মসজিদ ও মাদরাসা প্রাঙ্গণে যান। মাইকে শুভেচ্ছার বার্তা চলতে থাকে।
মেয়র তানজিল খলিফা কাজল ভাই মঞ্চে নিয়ে বসান। (শুনেছি ৩০০ মানুষের খাবার এর আয়োজন করা হয়েছে) । মানুষ আর মানুষ। এলাকার মানুষ ও নানা সংগঠন আমাকে উষ্ণ সম্বর্ধনা জানান। অনেকের কথা বলার কথা থাকলেও মেয়র কাজল অনুষ্টান ছোট করেন।। বলেন আজ জুয়েল সাদত কথা বলবেন, আপনারা শুনবেন।। আমিও বলব না।। তখন বেলা আড়াইটা। প্রায় অর্ধ শত আলেম উলামা ও ইসলামী স্কলার আমার আশে পাশে পেছনে বসা।
মসজিদ কমিটির কয়েকজন কথা বলেন, বড় আলোচনা সভা থাকলেও সেটা ছোট করেন কাজল ভাই।। বার বার মাইক নিয়ে তিনি সকলকে বলেন, সিলেট ও আমেরিকার মেহমান কথা বলেন। আমার পক্ষ থেকে সাংবাদিক খালেদ আহমদ ১ মিনিট কথা বলেন। তারপর আখাউড়ার মেয়র বক্তব্যে রাখেন, মাত্র তিন মিনিটে তিনি শেষ করেন।। তিনি আমাকে অত্র এলাকার নাগরিক হিসাবে ঘোষনা করেন। তিনি তার চম্যকার বক্তব্যে আখাউড়া এলাকাবাসীর জন্য আমার নানা আবেগের ভুয়শী প্রশংসা করেন।
তারপর তিনি আমাকে কথা বলতে বলেন, পীন পতন নিরবতায় আমি ১৫ মিনিট কথা। কিভাবে এই এলাকায় আসি, ফেসবুক ফ্যান্ড মওলানা আজমলের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকায় আমার কাজ শুরু ( আগরতলা চেক পোষ্ট) । তারপর চারটি প্রতিস্টান করি। ২০১৮ সালে একবার এসেছিলাম, তারপর গত ৫ বছরে আরো ৩ টি প্রতিস্টান করি।। আপনারা আমাকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিলেন, উল্লেখ করে এই এলাকার জন্য কি করলাম, কি করব, কি করা যায় বলি। মওলানা আজমলের পরিবারের কারনে আজ এই এলাকার মানুষের সাথে আমার চম্যকার সম্পর্ক। তা অব্যাহত থাকবে।। আমি ও আমার পরিবার, আমার সন্তান ও আমার শারিরীক সুস্থতার জন্য দোয়া চাই।
আমার সাদত হাফিজীয়া মাদ্রাসার প্রথম দুজন হাফেজ কে আমরা পাগড়ী পড়াই, উনারা দুজন আমার পাশে আসেন আমি টুপিও পড়াই।
এ এক অন্যরকম অনুভুতি, সামনে ২৫০ জন বসা, আমরা আমাদের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করি।
তারপর আমি ও মেয়র মাদ্রাসার বহুতল ভবনের ফলক উন্মোচন করি ও দোয়া করি।। এলাকার সকলের সহযোগীতায় আগত ৩০০ জনকে খাবার পরিবেশন করা হয়।। সম্মিলিত ভাবে পুরো এলাকাবাসীর সহযোগীতায় ব্যয়বহুল এই অনুষ্টানটি আমার সম্মানার্থে করা হয়। আমাকে বিন্দু মাত্র জানানো হয় নি। আমার সাথে সব সময আখাউড়া বন্দরের সেক্রেটারি শফিক ভাই ছিলেন ও উনার ৫ ভাই। এছাড়াও স্থানীয় আওয়ামীগের সেক্রেটারি ও উনার সকল ভাই ছিলেন।। সবার নাম মনে নাই ( সরি ) । উনাদের বাসায় আমাদের দুপুরের খাবার খাওয়ানো হয়।
মেয়র কাজল ও আমার সফর সঙ্গী রা মসজিদ মাদ্রাসা ঘুরে দেখি।
ও এলাকারা সকলের সাথে কুশল বিমিময় করি।