বালাগঞ্জের তাইয়্যিবা জন্মের পর থেকে প্রতিবন্ধী দেখার কেউ নেই!

টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:৩৮:২২,অপরাহ্ন ১৯ আগস্ট ২০১৯ | সংবাদটি ৪৭১ বার পঠিত
বালাগঞ্জ থেকে জাগির হোসেনঃ সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা সদরের রাধাকোনা গ্রামে মো: রিপন মিয়ার মেয়ে তাইয়্যিবা জান্নাত দুই বছরের মেয়ে জন্মের পর থেকেই বিছনা থেকে উঠতে পারে। হাত-পা অবশ মুখ দিয়ে কথা বলতে পারে না দাঁড়াতে পারে না। মেয়েটি প্রতিবন্ধী। নাই কোন ভাতার ব্যবস্থা। মাতা রোশনা বেগম জানান, “অামি কিছু চিনি না জানি না, অারো একজনকে নিয়ে সমাজসেবা অফিসে যাই, সেখানে গিয়ে অফিসে কয়েকজন কে পাই, সেখানে অামার মেয়েকে দেখাই অার বলি অামার মেয়ে প্রতিবন্ধী ভাতা পাবে কি? তারা জবাবে বলেন, ৬বছর পর পাবে “।
এ বিয়ষে, সদরের ৮নং ইউপি সদস্য অাব্দুস শহিদ মেম্বারের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, তার সাথে এ বিষয়ে কোন কথা বলেনি তারা।
এদিকে,মেয়ের বাবা তার কোন খোঁজ খবর নেয় না। মাতা রোশনা বেগম (৩৫) ৩ছেলে ও ১ছেয়ে সন্তানের জননী। ছোট বাচ্চারা পরের দোকানে কাজ করে পরিবার চালায়। দেড়শতক জমিনে তারা অসহায় ভাবে জীবন যাপন করছে।
মেয়েটিকে জন্মের পর কিছু দিন সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে কিছু দিন ডাঃ সুশান্তা রায় এর অধিনে চিকিৎসারত ছিলেন। পরবর্তীতে এখান থেকে স্থানান্তরিত হয়ে নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাঃ জামিল অাহমদের অধিনে চিকিৎসারত ছিলেন। প্রতিবন্ধী’র মাতা সাংবাদিক জাগির হোসেন কে জানান যে, ডা: জামিল অাহমদ বলেছেন, মেয়েটির কোন একটা অঙ্গ সচল নয়, সচল না থাকার কারণে এক নাগারে অনেক থেরাপি দেওয়া লাগবে, তাহলে হয়তো সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় মেয়েটি কিছুটা হলে দুনিয়ার মুখ দেখতে পারবে। কিন্তুু টাকার অভাবে একটা থেরাপি এমনকি ৫’শত টাকার ঔষধ কিনে খাওয়ানোর মত সামর্থ্য অামার নাই বলে জানান প্রতিবন্ধীর মা।