সিলেটে নগরের এক ব্যস্ত ফটো সাংবাদিক হয়ে উঠেছিলো শাহেদ

টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ১:১১:৫৩,অপরাহ্ন ০৫ মে ২০২৫ | সংবাদটি ৭১ বার পঠিত
সিলেটে নগরের এক ব্যস্ত ফটো সাংবাদিক হয়ে উঠেছিলো শাহেদ। মিডিয়াগাইডের ফটোগ্রাফার শাহেদ এখন একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। সাংবাদিক পরিচয়ে হঠাৎ ছন্দপতন ঘটিয়ে পরিচিতি পেল ব্যবসায়ী। গত দু’দিন যারা তাঁর বিয়ের ফটো দিয়ে স্ট্যাটাস দিলেন তারা সবাই তাঁর ব্যবসায়ী পরিচয়টাকেই বড় করে তুলেছেন। অথচ তার বিয়েতে যে ক’জন রাজনীতিবিদও ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন তার চেয়ে সাংবাদিকদের উপস্থিতি কোনো অংশেই কম ছিলো না। দু একজন ছাড়া সহকর্মী সিনিয়র জুনিয়র সাংবাদিকদের কাউকেই বাদ রাখেনি দাওয়াত থেকে। ঢেঁকী স্বর্গে গেলেও ধান ভাঙে- এটিই তার স্বভাবজাত চরিত্র। আমার শাহেদও তেমন। তবে সাংবাদিক পরিচয় কখনও সাবেক হয় না। শাহেদ আমার কাছে ফটো সাংবাদিকই। কারণ তাঁর তোলা অসংখ্য ছবি এখনও কথা বলে দেয়ালে দেয়ালে।
২০০৩ সালে মিডিয়াগাইড চালুর পর একদিন শাহেদকে নিয়ে এলেন তাজুল ভাই। চিকচিকে কালো মায়ারী চেহারার শাহেদের কর্মজীবন সেই শুরু। আর তাঁকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এর সবচেয়ে বড় যে শক্তি ছিলো তার সে খুবই মিষ্টভাষী এবং ধৈর্যশীল। জীবনে এর ফলটাও সে পেয়েছে। পরিচয় সূত্রে তাঁর বাবা মাকে আমি মামা-মামী ডাকি।
আপাদমস্তক একজন ভালো মানুষ শাহেদের বাবা শাহজাহান মামা। মামীও খুবই আল্লাহওয়ালা। সন্তানের এমন সাফল্যের পেছনে বাবা মায়ের দোয়া আর আল্লাহর দয়াই মুল।
গত শুক্রবার আমার ভীষণ ভালো লাগছিলো শাহেদের ওয়ালিমায় উপস্থিত হয়ে। আবেগে অজান্তেই চোখের কোনে জল গড়িয়েছে নিজেরই। সবকিছুর জন্য শোকরিয়া মহান মাবুদের কাছে। আলহামদুলিল্লাহ। জীবনে সূখী হও শাহেদ। বহুদূর এগিয়ে যাও মানুষের মমতায়। তোমার ঘরে আসা বোনটির জন্যও শুভ কামনা রইল।
সাংবাদিক, ফয়ছল আলম