আমিও মাঠে ছিলাম

টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৪২:২৫,অপরাহ্ন ২৯ জুলাই ২০২৫ | সংবাদটি ৩৪ বার পঠিত
সাংবাদিক,সিপার চৌধুরী: ছত্রিশ জুলাইয়ের সময় প্রতিদিন ছিলাম মাঠে গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে। এতে (শাবিপ্রবির) শাহজালাল বিজ্ঞানও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আমার ক্যামেরাম্যান আহত হয়েছে তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে আমিও চ্যানেল আই প্রতিনিধি সাদিকুর রহমান সাকী এবং আরেক সহকর্মী জহির রায়খান সহ আহত হয়েছি।
আরেকদিন মদীনা মার্কেট পয়েন্টে দায়িত্বরত অবস্হায় গ্লোবাল টিভির ক্যামেরাম্যান আহত হয়েছে এবং তার হাতের ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়েছে ওরা! তাকে উদ্ধার করতে আমিও গ্লোবাল টিভির ব্যুরো প্রধান মুহাম্মদ মাহতাব উদ্দিন তালুকদার আহত হয়েছি।
আরেকদিন বাদ জুময়া এখন টিভির বর্তমান রিপোর্টার সন্দীপন শুভ এবং আমার ক্যামেরাম্যান ও আমার পরিবার সহ প্রায় ৪/৫ ঘন্টা শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় ছিলাম মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে! আর প্রিয় শহীদ আবু তুরাব যে দিন শহীদ হয়, সে দিনের ইবনে সিনা হাসপাতালের কাহিনি তো এক ইতিহাস হয়ে রয়েছে এবং অনেকের চোখে শুধু নয় মোবাইলেও ভিডিও রয়েছে ডেভিলদের আচরণবিধি!
লাস্ট ৫আগষ্ঠ দুপুর বেলা পূর্ব জিন্দা বাজার হক সুপার মার্কেটের সামনে পুলিশের ছর-রা গুলি লাগে বাম হাতে! তো এতো কিছুর পর আমরা তো কোথাও বলে বেড়াইনি আমি আহত!আমি জুলাই যোদ্ধা!
কেননা আমি ছিলাম গণমাধ্যম কর্মী এবং সেটা ছিলো আমার ডিউটি।
সবার নোট আছে আমাদের কাছেঃ কারা ঐ সময় ডিউটি তে গিয়েছিলো শুধু মাত্র তথ্য আদানপ্রদানের জন্য বা সোর্স গিরি করার জন্য! আবার কারা ঘর থেকেই বের হয়নি ঐ সময়। এবং বর্তমানে যেসকল সাংবাদিক সাবরা সকল প্রোগ্রামে এদেরকে (ডেভিলদেরকে) শেল্টার দিয়ে উপস্থিত করান,এরা ( এই শেল্টার দাতা) কাউকে তখনকার সময় মাঠে দেখিনি। শহীদ আবু তুরাব যখন আহত হয়েছিলো পুরান লেনের সামনে তখন আমরা কতেক সহকর্মী সহ ছিলাম শাবিপ্রবির সামনে ডিউটি অবস্থায়।
তখনই শুনলাম সে আহত হয়েছে! পরবর্তীতে জানলাম এবং ভিডিও ফুটেজ দেখলাম কেউ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি! একটা রিক্সা তে উঠিয়ে দিয়ে নিজের দায়িত্ব এখানেই শেষ করেছিলো! কিন্তু আজ এরা চোখে সরিষা তেল দিয়ে কাঁদে আর নিজেকে জুলাই যোদ্ধা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় শহীদ আবু তুরাবের লাশের উপর ভর করে। এর জন্য কারা দায়ী প্রশ্ন থেকে গেলো এখানে!! বিস্তারিত নিয়ে আসছি আগামী পর্বে
ফেসবুক থেকে কপি