গোলাপগঞ্জে তরুণীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ
মামলা নিতে গড়িমসি করার অভিযোগে পুলিশ সদস্য ক্লোজড
টাইম ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:২৯:৪২,অপরাহ্ন ১৩ জুলাই ২০১৯ | সংবাদটি ৪৩৫ বার পঠিতসিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের হিলালপুর চকপাড়ায় এক তরুণীকে (২০) অপহরণের পর ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যার পর ঐ তরুণীটিকে অপহরণ করা হয় বলে জানা যায়।
অভিযুক্ত যুবক লক্ষীপাশা ইউনিয়নের বাউসি গ্রামের মুছব্বির আলীর পুত্র আলাল হোসেন (২৫)। ঘটনার পর শুক্রবার রাতে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে আলাল হোসেনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নং ১৮/১২-০৭-১৯ইং)। অভিযুক্ত আলাল হোসেন সিএনজি অটোরিকশা চালক বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ও ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, “গত বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার পর্যন্ত ভিকটিমকে তার পরিবার খুঁজে না পেলে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ (জিডি) ডায়েরি করে। পরদিন শুক্রবার (১২জুলাই) রাত ৭টার দিকে তরুণীকে অভিযুক্ত যুবক আলাল হোসেন একটি গাড়িতে তুলে দিলে তাকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় নিয়ে আসে।”
এদিকে এ ঘটনায় মামলা নিতে পুলিশের গড়িমসি অভিযোগ এনে ও অভিযুক্ত যুবককে এখনো গ্রেপ্তার না করায় শনিবার (১৩ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রাখে এলাকাবাসী। এসময় সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন এসে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তপন কুমারকে সাময়িক ক্লোজড ও অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় এলাকাবাসী।
ভিকটিমের নিকটতম এক আত্মীয় সূত্রে জানা যায়, “পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে গড়িমসি করে। পরে মামালা নিলেও অভিযুক্ত আলাল হোসেনকে এখনো গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়নি।”
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান মামলা নিতে গড়িমসি বা অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তারে পুলিশের অবহেলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, “তরুণীকে থানা নিয়ে আসলে আমরা শুক্রবার রাতেই তাৎক্ষণিক মামলা রেকর্ড করি। অভিযুক্ত যুবক আলাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।”
উপ পরিদর্শক তপন কুমারকর ক্লোজডয়ের বিষয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, “অভিযোগকারীদের অভিযোগ আমলে নিয়ে ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সামাল দিতে এস আই তপন কুমারকে সাময়িকভাবে ক্লোজড করে সিলেট পুলিশ লাইন্সে পাঠানো হয়েছে।”
এদিকে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা সাময়িক ক্লোজড হওয়া পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) তপন কুমার জানান, “প্রথমে ভিকটিমের পরিবার তরুণী নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাতেই পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। পরদিন শুক্রবারেও বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশের অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতেই অভিযুক্ত তরুণ তাকে ছেড়ে পালিয়ে যায়।”