ক্রেতা না পাওয়ায় কুরবানির চামড়া ফেলে দেওয়া হল নদীতে!
বালাগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৫২:৪৮,অপরাহ্ন ১৩ আগস্ট ২০১৯ | সংবাদটি ৪৮২ বার পঠিত
ক্রেতা না পাওয়ায় কুরবানির চামড়া ফেলে দেওয়া হল নদীতে!
কোরবানির ঈদে পশুর চামড়ার ক্রেতা না পাওয়ায় বালাগঞ্জে কুৃশিয়ারা নদীতে চামড়া ফেলে দিয়ে প্রতিবাদ করেছে মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা।
এমন ঘটনা ঘটেছে সিলেট সহ প্রায় অনেক জেলায়। চামড়া কেনার লোক না পাওয়া যাওয়ায় সারাদিন রাত পাহারা দিয়ে অপেক্ষার পর বাধ্য হয়েই চামড়া নদীতে ফেলে দেন।
উপজেলার ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান বালাগঞ্জ ফিরোজা বাগ মাদ্রাসার ১১৯টি, বালাগঞ্জ আদর্শ মহিলা মাদ্রাসা প্রায় ১০০টি, তিলকচানপুর অাদিত্যপুর ইসলামিয়া অালিম মাদ্রাসা ৩৪টি, নতুন সুনামপুর মাদ্রাসা ৭০টি ও দক্ষিণ গৌরীপুর মাদ্রাসার ২৭টি চামড়া নদীতে ফেলে দেয়া হয়।
ফিরোজা বাগ মাদ্রাসার মুহতামিম মাও: অাব্দুল মালিক ও মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষাসচিব আব্দুল বাতিন বলেন, গত কাল থেকে পশুর চামড়া মাদ্রাসার রাস্তায়, এলাকাবাসী দুঃখ প্রকাশ করছে বাসা বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না দুর্গন্ধে।
এমতাবস্থায় পুঁতে রাখারমতো পর্যাপ্ত জায়গা নাই। তারা অারো বলেন, জানিনা কেন কারা গরীব ও এতিম বাচ্চাদের হক নষ্ট করছে চামড়া সিন্ডিকেট করে। যে বা যারা এরকম অসাধুতা করছেন কাল ময়দানে মাশরে হিসাব দেওয়া লাগবে। এতিমের হক নষ্ট করছেন অাল্লাহ তার বিচার অবশ্যই করবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ফিরোজা বাগ মাদ্রাসার মুহতামিম মাও: আব্দুল মালিক মহিলা মাদ্রাসার মুহতামিম মাও: সা’দ উদ্দিন,ফিরোজাবাগ মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব, মাও ফয়েজ অাহমদ, মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মাও: আব্দুল বাতিন, সিনিয়র শিক্ষক মাও: আব্দুশ শহিদ, মাও:আব্দুল কালাম, মাও: অলী অজগর, মাও: জুনাইদ অাহমদ, মাও: ফজলে হক, বালাগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম, তিলকচানপুর মাদ্রাসার সদস্য ফারুক আহমদ ও সাংবাদিক জাগির হোসেন প্রমুখ।
এ ব্যাপারে বালাগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যন মোঃ আব্দুল মুনিম বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষকরা আমাকে জানালে আমি বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কে অবগত করেছি।
বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজমুল সাকিব বলেন বিষয়টি আমি ব্যক্তিগতভাবে উর্ধতন কতৃপক্ষকে অবগত করেছি।