গণমাধ্যমকর্মী ও পরিচ্ছন্ন ছাত্রনেতা মাসরুল রাসেল কারাগারে
টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৩০:২৪,অপরাহ্ন ০৭ অক্টোবর ২০২০ | সংবাদটি ৫৪৩ বার পঠিত
গণমাধ্যমকর্মী সংস্কৃতিকর্মী, পরিচ্ছন্ন ছাত্রনেতা মাসরুল রাসেল কারাগারে। মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সিলেট মহানগর মূখ্য হাকিম আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। সিলেট কেন্দ্রিয় কারাগারেই অন্তরীণ সময়ের সাহসী মেধাবী এই তরুণ। মাসরুর রাসেলের জামিন প্রার্থনার তারিখ নির্ধারনে আজ আদালতে শুনানী করবেন সিলেট জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এডভোকেট এটিএম ফয়েজ উদ্দিন সহ সিনিয়র আইনজীবিগণ। এ তথ্য জানান, মাসরুর রাসেলের পক্ষের (ল’ইয়ার অন রেকর্ড) এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও এডভোকেট নজরুল ইসলাম।
সোমবার (৫অক্টোবর) দিনভর পেশাগত দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত ছিলেন মাসরুর রাসেল। পেশাগত দায়িত্বপালন শেষে সন্ধ্যায় নগরীর উপশহরে সহকর্মীদের নিয়ে সাংগঠনিক কাজ করছিলেন। সন্ধ্যা মিলিয়ে গেছে তখন। বাসায় ফিরতে যাবেন, আচমকা সাদা ও পোশাকধারী পুলিশ ঘিরে ফেলে তাকে। ‘রাসেল ভাই একটু কাজ আছে বলে গাড়ীতে উঠিয়ে নেয়।’ পরিবার, রাজনৈতিক ও পেশাগত সহকর্মীদের উদ্বেগ উৎকন্ঠার ঘন্টাখানেক পর তাঁর সন্ধান মেলে শাহপরান থানায়।
খবর পেয়ে ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ , দৈনিক প্রভাতবেলা সম্পাদক ও গণমাধ্যমকর্মীরা শাহপরান থানায় যান। রাত ১০টা অবধি কেন মাসরুর রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা সুনির্দ্ধিষ্টভাবে বলতে পারেনি। ১০ টার পর জানায়, ২০১৮ সালের একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা রয়েছে। মামলা নং ৪৮৫/১৮ জিআর কোতোয়ালী। পরোয়ানাভূক্ত আসামী সম্পর্কে তথ্য দিতে এত সময় নেয়া হচ্ছে কেন? প্রভাতবেলা সম্পাদক কবীর সোহেলের এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেনি পুলিশ।
রাতভর অনেক ষড়যন্ত্রের জাল বুনা হয়। মঙ্গলবার সারাদিন চলে নাটক। জকিগঞ্জ , কানাইঘাট থানার আসামীরা ১২ টার মধ্যে আদালতে পৌঁছলেও শাহপরান থানা থেকে মাসরুর রাসেল আদালতে পৌছেন পৌনে ৪টায়। কোনভাবে ফাঁসিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা ছিল পুলিশের একটি মহলে। পুলিশকে ইন্ধন দিচ্ছিল খোদ ছাত্রদলেরই কতিপয় কুচক্রীমহল। এমনকি মাসরুর রাসেলের অবস্থান জানিয়ে পুলিশকে দেয়া ‘কলের’ তথ্যও প্রভাতবেলার হাতে এসেছে। তাঁর পরিচয় ও মুখোশ উন্মোচন করে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ হবে।
মাসরুর রাসেলকে অস্ত্র বা মাদক দিয়ে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মী ও পরিচ্ছন্ন ছাত্রদল নেতাকর্মীর অতন্দ্র প্রহরায় তা সফল হয়নি। ২০১৮ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের যে মামলায় রাসেলের বিরুদ্ধে পরোয়ানা হয়েছে ঐ মামলায় ৪৩ জন আসামীর মধ্যে ৪১ নং অভিযুক্ত তিনি। বাকী ৪২ জনই জামিনে রয়েছেন। আরো আশ্চর্য’র কথা মামলায় যে ঘটনার দিন তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ঐদিন রাসেল সিলেটেই ছিলেন না। তারও তথ্য প্রমাণ প্রভাতবেলার কাছে রয়েছে।বলে সম্পাদক আমাদের টাইম সিলেট ডট কম কে এ বিষয়ে জানান।
প্রসঙ্গত: মাসরুর রাসেল দৈনিক প্রভাতবেলা’র সহ: সম্পাদক। কৃতি ক্রিকেটার, সংগঠক, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপালনে সফল এই মেধাবী তরুণ একটি ব্রডকাস্টিং মিডিয়া প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সিলেট জেলা শাখার সহ-সভাপতি। পরিচ্ছন্ন ও মেধাবী ছাত্রনেতা হিসেবে সর্বমহলে তার সুনাম রয়েছে।