সিলেটে জনতা ব্যাংকের জিএম আসাদুজ্জামান ঋণের ফেরীওয়ালা

এস এ শফি
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৫০:২৫,অপরাহ্ন ১৩ জুলাই ২০১৯ | সংবাদটি ৫৯১ বার পঠিতজনতা ব্যাংক লিমিটেড সিলেট বিভাগের নতুন জিএম মোঃ আসাদুজ্জামান একজন ঋণের ফেরীওয়ালা হিসাবে ইতিমধ্যে সিলেটের সকল মহলের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। তিনি ফেরীওয়ালার মত ঋণের বার্তা নিয়ে দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন এবং ব্যবসায়ীদেরকে জনতা ব্যাংকে আসার জন্য অনুরোধ করছেন ।
গত ডিসেম্বর ২০১৮ইং মাসে তিনি জনতা ব্যাংকের জিএম হিসাবে পদোন্নতি পেয়ে সিলেট বিভাগের দ্বায়িত্ব পান। সিলেটের দ্বায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে তিনি সিলেটে এসে সকল স্তরের জনতার সাথে আন্তরিক সু-সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। তিনি জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে সমাজের আর্ত সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।
তিনি ইতিমধ্যে সিলেটের ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠন, সিলেট চেম্বার অব কমার্স,সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স ও সিলেট মহিলা চেম্বার সহ সকল স্তরের ব্যবসায়ীদের সাথে ঋণের ব্যাপারে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বিশেষ করে মহিলা উদ্যোক্তা সৃষ্টিতেও কাজ করতে চান উল্লেখ করে তিনি জানান সিলেটে ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ রয়েছে। সরকার সিলেটে ইকনোমিক জোন ও আইসিটি পার্ক তৈরী করছে। তাই এখানে ব্যবস্থার যথেষ্ট সুযোগ সৃষ্টি সহ ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন বেকার যুবকরা। তাছাড়া সিলেট পর্যটন এবং প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা। প্রবাসীদের প্রেরিত প্রচুর রেমিটেন্স এর টাকা ব্যাংকগুলোতে জমা রয়েছে।
তিনি জানান এই টাকা ব্যবহার না হওয়ায় ব্যাংকগুলো দেশের অন্যান্য অঞ্চলে নিয়ে এই টাকা ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন স্থানে শিল্প কারখানা গড়ে তুলছে। এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি চান সিলেটের জনগণের কষ্টার্জিত টাকা যেন সিলেটে আর্তসামাজিক উন্নয়ন কাজে ব্যবহার হয়। তিনি চান সিলেটে নতুন নতুন উদ্যোক্তা গড়ে উঠুক।
তিনি জানান, জনতা ব্যাংক এর সিলেট বিভাগে ৫৯ টি শাখা রয়েছে যে গুলোর মাধ্যমে ব্যবসায়ী সহ সকল স্তরের মানুষের সকল ধরণের ব্যাংকিং সেবা দিতে তারা অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে। সিলেট শহরের ভেতরেও ৯টি শাখা রয়েছে এই শাখাগুলো তিনি সিলেটের ব্যবসায়ীদের ব্যবসার পুঁজির স্থল বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ছোট বড় সকল ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা পরিকল্পনা যেন গ্রহন করে এবং জনতা ব্যাংককে সাথে রাখে। জনতা ব্যাংক তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পুঁজি নিয়ে হাজির হবে তাদের পাশে। সিলেট বিভাগের ৫৯ টি শাখার মাধ্যমে তিনি কাজ করতে চান। সিলেট বিভাগের যে কোন শাখাকে সিলেটবাসী তথা সিলেটে অবস্থানরত সকলেই নিজের প্রতিষ্ঠান মনে করে নির্ধিদায় আসে এবং দরকারমত তাদের সেবা গ্রহন যেন গ্রহন করে এই অনুরোধ তিনি জানিয়েছেন।
সিলেটের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যবসায়ীগণ দেশে-বিদেশে দক্ষতার ও সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করছে। সিলেটের এ ব্যবসায়ী সহ নতুন ব্যবসায়ীদের পাশে থাকবে জনতা ব্যাংক। জনতা ব্যাংক সত্যিকারের ব্যবসায়ীদের পুঁজি যোগান দিতে চায়। জনতা ব্যাংকের দ্বার শুধু মাত্র ব্যবসায়ী নয় অন্যান্য সকল স্তরের মানুষের জন্য সব সময় খোলা রয়েছে বলে জানান।
তিনি আরও জানান সিলেটে জনতা ব্যাংকের কৃষি শাখাও রয়েছে সে সকল শাখা কৃষকদের ঋণ দিচ্ছে। কৃষকরা যেন জনতা ব্যাংকে আসেন এবং ব্যাংককে তাদের সাথে উৎপাদনে অংশীদার করেন।
সিলেটে অনুষ্ঠিতব্য এসএমই পণ্য মেলায় তার অংশগ্রহণ এবং মেলায় আগত উদ্যোক্তাদের সাথে আলাপ আলোচনার ফলে পন্য মেলায় অংশগ্রহনকারী এসএমই উদ্যোক্তাদের মুখে তার সহযোগীতার কথা ব্যাপক সমাদৃত হয়। এসএমই পণ্য মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেটের নিবার্হী পরিচালক তার প্রসংশায় মঞ্চমুখ ছিলেন। সিলেটে নতুন পুরাতন সকল ব্যবসীদের কাছে তাহার এই বার্তা পৌছানেরা অনুরোধ করে তিনি বলেন ভাল প্রতিষ্ঠানের খোজ পেলে সাথে সাথে আমি নিজে উদ্যোগী হয়ে তাদের পাশে যাই। আমাদেরকেও ঐসকল বিষয়ে তথ্য দিয়ে তাকে সহযোগিতা করতে বলি। সবাইকে নিয়ে তিনি কাজ করার আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন। সত্যিকার ভাবে একজন ঋণের ফেরীওয়ালার মতই একজন ব্যাংকার হিসাবে তাকে আমরা আখ্যায়িত করতে পারি।