সিলেটে বালাগঞ্জে বন্যা স্কুল, মসজিদে পানি

বালাগঞ্জ থেকে আবুল কাশেম অফিকঃ
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:২২:২১,অপরাহ্ন ১৫ জুলাই ২০১৯ | সংবাদটি ১২২১ বার পঠিতসিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। একটানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে পাহাড়ি ঢলে কুশিয়ারা নদীর পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যায় উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫ টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলসহ অনেক এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে উপজেলার কুশিয়ারা নদীর পানি ১.৫ মিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সৃষ্ট বন্যায় বালাগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন এলাকা পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। হাসপাতাল রোড, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ,পশ্চিম বাজার, বাসস্ট্যান্ড, ডিএন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, উপজেলা কমপ্লেক্স রাস্তা সহ অনেক জায়গায় পানিতে ডুকে পড়েছে। ফলে উপজেলার প্রায় ১০ হাজার লোক পানিবন্দি হয়েছে পড়েছেন।
হাজার পরিবার বন্যার পানিতে আক্রান্ত হয়েছে।
এব্যাপারে সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মুনিম টাইম সিলেটকে জানান বালাগঞ্জ বাজার সহ করচারপাড়, রাধাকোনা,কালিগঞ্জ, সহ অনেক এলাকার মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে, কারচার অংশে কুশিয়া ডাইক ভেঙ্গে পানি ডুকে পড়েছে।
পূর্ব পৈলন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন জানান, এমাত্র ইউনিয়ন পরিদর্শন করে এসেছি। ইউনিয়নর প্রায় বক’টি গ্রাম পানি বন্দি। কুশিয়ারা ডাইকের ৭/৬ স্থানে ভেঙে পানি প্রবাহিত হওয়ায় দ্রুত পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদী তীরবর্তী খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। কয়েকটি বিদ্যালয়ে পানি ডুকে পড়লে বন্ধ রয়েছে। ইউনিয়নের ছোটবড় রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে।
পূর্বগৌরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান হিমাংশু রঞ্জন দাস বলেন ইউনিয়নের কুশিয়ারা তীরবর্তী কয়েকটি গ্রামের বাড়ীঘরে পানি ডুকেছে।
পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মধু জানান, ইউনিয়নের পানি বাড়ছে বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।
তবে তার ইউনিয়নের মেম্বার রাখার দাশের সাথে আলাপ হলে জানান কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
এদিকে অদ্য ১৫ জুলাই বেলা ১১ টায় ত্রান ও দুর্যোগ কমিটির জরুরী সভা আহবান করা হয়েছে। গত শনিবারে পূর্বগৌরিপুর ও পূর্বপৈলনপুরের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেছেন বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজমুস সাকিব, সহকারী কমিশনার (ভুমি) সুমন চন্দ্র দাস।
বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাজমুস সাকিব বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকমক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে ও জনপ্রতিনিধিরাও সার্বক্ষনিক খোজ খবর রাখছেন।