দক্ষিণ সুরমায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ

টাইম ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:১৭:০৬,অপরাহ্ন ২৩ জুলাই ২০১৯ | সংবাদটি ৪১৯ বার পঠিত
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা মৎস্য অফিসের উদ্যোগে ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৯’ উপলক্ষে মূল্যায়ন, পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান গতকাল ২৩ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ ছমির উদ্দিন এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সত্য ব্রত রায়, উপজেলা কৃষি কর্মর্তা শামীমা আক্তার, সৈয়দ কুতুব জালাল মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল করিম, রেবতী রমন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাবিহা খানম রুবা, সূচনা কর্মসূচি এফআইভিডিবি’র উপজেলা সমন্বয়কারী গোলাম মোস্তফা, খলিলুর রহমান, শেখ শামীম আহমদ, আব্দুল মালেক, পারভেজ আহমদ, সীমা বেগম প্রমুখ।
শ্রেষ্ঠ মৎস্য চাষী হিসেবে পুরস্কার লাভ করেন লালাবাজারের শেখ শামীম আহমদ, কুচাইয়ের শামীম কবির, কামালবাজারের শংকরী দেব। মৎস্য বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সৈয়দ কুতুব জালাল মডেল হাইস্কুল এবং দ্বিতীয় স্থান লাভ করে রেবতী রমন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হন খাদিজা আক্তার রাকি। পরে সভাপতি মিন্টু চৌধুরী পুরস্কার বিতরণ করেন।
সভাপতি বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু চৌধুরী বলেন, মানুষের শরীরিরের আমিষের চাহিদা মেটাতে মাছের বিকল্প নেই। তাই আমাদেরকে মাছে বংশবৃদ্ধিতে আন্তরিক হতে হবে। কারেন্ট জাল ব্যবহার না করা, ডিমওয়ালা ও পোনা মাছ শিকার করা থেকে মৎস্যজীবীদের বিরত থাকার আহবান জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গোপসাগরে ১,১৮,৮১৩ বর্গকিমি এলাকায মৎস্য আহরণে আইনগত ও ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই আইনেয় সমুদ্রে ৬৫ দিন মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করায় মাছের উৎপাদান বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের ১০৪টি প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানার মাধ্যমে গত অর্থ বছরে ৬৮,৯৩৫ মেট্রিক টন মাছ রপ্তানি মাধ্যমে আয় হয়েছে ৪,৩১০ কোটি টাকা। দেশে মৎস্যখাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১ কোটি ৯০ লক্ষ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মৎস্য-উৎপাদন হয় ৪২ লাখ ৭৭ হাজার টন এবং ইলিশ ৫ লাখ ১৭ হাজার টন।
‘মাছ চাষে গড়বো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।’ স্লোগানকে সামনে রেখে শুরু হওয়া মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে মাইকিং, সংবাদ সম্মেলন, র্যালি, আলোচনা সভা, মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন, ফরমালিন বিরোধী অভিযান, বিভিন্ন হাট-বাজার ও জলমহলে মৎস্য বিষয়ক আইন বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতা, মৎস্য চাষ বিষয়ক উদ্বুদ্ধকরণ সভা ইত্যাদি কর্মসূচি পালিত হয়।