দক্ষিণ সুরমায় শিক্ষার্থী খুন: পুত্র হত্যার বিচার চাইলেন মা, দাফন সম্পন্ন
গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:১১:৪৬,অপরাহ্ন ২৫ জুলাই ২০১৯ | সংবাদটি ৮৬০ বার পঠিতসিলেটের দক্ষিণ সুরমার আলমপুরের সিলেট সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সহপাঠী কর্তৃক নির্মমভাবে নিহত তানভীর হোসেন তুহিনের (১৮) হত্যাকারীদের বিচার চাইলেন মা রিনা বেগম।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে নিহত তানভীরের লাশ গোলাপগঞ্জের কোনাচর দক্ষিণভাগের পলিতাবহরস্থ বাড়িতে নিয়ে আসলে পরিবার, আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশীদের কান্নায় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। একমাত্র পুত্র হারিয়ে মা রিনা বেগম ও বোন সিলেট মইন উদ্দিন সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী সাবেরা খানম উর্মি বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। তানভীরের এমন নির্মম মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না আত্মীয় স্বজন এবং প্রতিবেশীরাও। তার অকাল এ মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত তানভীরের পিতা মানিক মিয়া দীর্ঘদিন দিন থেকে সৌদি প্রবাসী হওয়ায় মা রিনা বেগম নিহত তানভীর এবং একমেয়েকে নিয়েই বাড়িতে বাস করে আসছিলেন।
পুত্র হত্যা প্রসঙ্গে নিহত তানভীরেরর মা রিনা বেগম সাথে আলাপ হলে তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে একমাত্র পুত্র হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দাবি করেন। এদিকে বৃহস্পতিবার বাদ আছর শাহজালাল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে নিহত তানভীরের লাশ দাফন করা হয়েছে। তানভীরের এমন হৃদয় বিদারক মৃত্যুতে তাকে শেষ বারের মত একনজর দেখার জন্য বাড়িতে এবং জানাযা মাঠে হাজারো মানুষের ঢল নামে। উল্লেখ্য, বুধবার দুপুরেরর দিকে সিলেট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে জুতা নিয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সহপাঠী কামরুল ও তার সহযোগীদের নিয়ে বেধড়ক পিঠুনিতে গুরতর আহত হন সিলেট এমসি কলেজের ডিগ্রি ১ম বর্ষের ছাত্র তানভীর হোসেন তুহিন । গুরতর আহতবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে তানভীর। এ ঘটনায় তানভীরের চাচা নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে ১০জনকে আসামী করে মোগলাবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের হেতিমগঞ্জ বাজারে হত্যাকারীর গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে তার সহপাঠি ও স্থানীয় জনতা মানববন্ধন করেছে। এসময় সড়ক অবরোধ করতে চাইলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিলে অবরোধ না করে স্থান ত্যাগ করে।