গোলাপগঞ্জে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গরুর হাটকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষের আংশকা, ১৪৪ ধারা জারি
![](https://timesylhet.com/files/uploads/2019/07/reporterpic.png)
গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:২০:১৩,অপরাহ্ন ২৯ জুলাই ২০১৯ | সংবাদটি ৩৭৮ বার পঠিতগোলাপগঞ্জে ভাদেশ্বরের মীরগঞ্জ এম আই দাখিল মাদ্রাসার মূল ফটকের সামনে গরুর বাজার বসানোকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী আশংকা করছেন। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সব ধরনের সংর্ঘষ এড়াতে পুলিশ সর্তক অবস্থায় রয়েছে।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার ছাত্র- ছাত্রীদের ও বাজারের ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ লাগবে জনস্বার্থে গরুর বাজার বন্ধের দাবীতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি অভিযোগ দাখিল হয়েছে। অভিযোগটি দাখিল করেন মীরগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও মীরগঞ্জ বনিক সমিতির সদস্য মো: মঈন উদ্দিন। অভিযোগটির পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ মাদ্রাসার সামনে গরুর হাট না বসানোর জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
অভিযোগ মাধ্যমে জানা যায়, মীরগঞ্জ ফতেহপুর গ্রামের মতিউর রহমানের পূত্র ছয়েফ উদ্দিন ও মীরগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসার সুপারেনডেন্ট আরিফ বিল্লাহ মাদ্রাসার সম্মুখে গরুর বাজার বসানোর চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। অভিযোগে আরো উল্লেখ রয়েছে এখানে গরুর বাজার বসালে এলাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টিসহ জসমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী মো: মঈন উদ্দিন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমরা এলাকাবাসী এখানে গরুর বাজার না বসানোর জন্য নিষেধ করলে অভিযুক্তরা আমাদের প্রাণনাশের হুমকী দেয়। এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্য মিজানুর রহমান মুঠোফোনে জানান, আদালতের নির্দেশে বর্তমানে উক্ত স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তাছাড়া পুলিশি টহল জোরদার রয়েছে। জানতে চাইলে
ভাদেশ্বর ইউপি আ’লীগ সভাপতি লুৎফুর রহমান জানান, বিগত সময় মাদ্রাসার উন্নয়নের স্বার্থে আমারা সরকারি নিয়ম মেনেই গরুর হাট পরিচালিত হয়েছিল কিন্তু হাট পরিচালনার পক্ষ থেকে সঠিক হিসাব না দেয়ায় এবার এলাকার লোকজন হাট বসাতে বাধা দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে মীরগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসার সুপারেনডেন্ট আরিফ বিল্লাহর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোনটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। মীরগঞ্জ বাজার বনিক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম জানান, বর্তমান সুপার মাদ্রাসার টাকা আত্মসাৎ করায় এখানে হাট বসাতে বাধা দিচ্ছে এলাকার সচেতন মহল।