গোলাপগঞ্জে কোরবানীর পশুরহাটগুলোতে বেচা-কেনার ভিন্নচিত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে
সুলতান আবু নাসের, গোলাপগঞ্জ
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:০২:২৪,অপরাহ্ন ০৯ আগস্ট ২০১৯ | সংবাদটি ৪০০ বার পঠিতঈদ-উল-আযহা ঘনিয়ে আসলেও এ বছর গোলাপগঞ্জে কোরবানীর পশুরহাটগুলোতে বেচা-কেনার ভিন্নচিত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রতিবছর ঈদ-উল-আযহার সময় কোরবানীর হাটগুলো জমে উঠলেও এ বছর ঈদের আর মাত্র ২দিন বাকি থাকলেও পশু বিক্রির পরিমাণ তুলনামূলক কম। তবে খামারী ও পাইকাররা বলছেন, এ বছর পর্যাপ্ত পরিমাণ গবাদি পশু থাকায় ক্রেতারা কোরবানীর পশু রাখা, চুরির ভয় এবং খাবারের দাম বেশি হওয়া এসব ঝামেলা এড়াতে একটু বিলম্ব করে কোরবানীর পশু কিনছেন।
ঈদের দু’একদিন আগে হাটগুলো জমে উঠবে বলে তারা আশাবাদী। তবে বিক্রি কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে, দেশীয় গরুর চাহিদা বেশি হওয়ায় ক্রেতারা বিক্রেতাদের বাড়ি পর্যায়ে গিয়ে কিনতে পছন্দ করছেন। পাশাপাশি প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় হাট থেকে কোরবানীর পশু দেখে পরবর্তীতে মোবাইলের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয়কে অনেকে সহজপন্থা হিসেবে উল্লেখ করছেন। উপজেলার বিভিন্ন পশুরহাট ঘুরে দেখা যায়, এবার গোলাপগঞ্জ উপজেলায় কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে ছোট-বড় প্রায় ৮টি স্থায়ী -অস্থায়ী পশুরহাট বসেছে।
প্রধান পশুর হাটটি বসেছে উপজেলার প্রসিদ্ধ পশুরহাট লক্ষণাবন্দ ইউপির পুরকায়স্থ বাজারে। তাছাড়া উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ বাজারের মাদ্রাসা মাঠ, গোলাপগঞ্জ সরকারি এমসি স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ, ডেপুটি (রাওকার) বাজার, মিরগঞ্জ বাজার, আছিরগঞ্জ বাজার, বাঘা পরগনা বাজার, রাখালগঞ্জ বাজারেও বসেছে কোরবানীর পশুরহাট। এবছর কোরবানীর পশু সরবারহ পর্যাপ্ত থাকলেও ক্রেতা সমাগম অনেকটা কম লক্ষ্য করা গেছে। পশু হাটগুলোয় বরাবরের মতো দেশী গরুর চাহিদাই বেশি। হাটগুলোয় দেশীয় গরুর পাশাপাশি ভারতীয় গরুর উপস্থিতিও রয়েছে। গরুর পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ছাগলও উঠছে হাটগুলোয়। কোরবানীর পশুর দাম নিয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পাওয়া যায়। কয়েকটি হাট ঘুরে দেখা যায়, এবারকার কোরবানীর ঈদে বড় গরুর চেয়ে মধ্যম সাইজের ৩০,০০০ হাজার থেকে ৭০,০০০ টাকা দামের গরুর চাহিদা বেশি।
ঢাকাদক্ষিণ দারুল উলুম হোসাইনিয়া মাদ্রাসা মাঠে গরু বিক্রি করতে আসা লিমন আহমদ জানান, এমনিতেই হাটগুলোতে ক্রেতা সমাগম কম, তার সাথে মৌসুমী ব্যাবসায়ীদের দৌরাত্মে গৃহস্থ্যরা তাদের দেশীয় গরুর প্রাপ্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বাইরে থেকে গরু আমদানী করে অপেক্ষাকৃত কম দামে বিক্রয় করে দিচ্ছে। একই হাটে কোরবানীর জন্য গরু ক্রয় করতে আসা রুবেল আহমদ জানান, হাটে গবাদি পশুর পর্যাপ্ত সরবারহ দেখছি। দামও তুলনামূলক ক্রয়ক্ষমতার ভিতরে রয়েছে।
এদিকে কোরবানীর হাট প্রসঙ্গে পুরকায়স্থ বাজার ও সরকারি এমসি একাডেমি মাঠের ইজারাদার সেলিম আহমদ জানান, এবার কোরবানীর পশু বেচাকেনার পরিমাণ অন্যান্য বছর থেকে খুবই কম। আশা করছি যে’কয়দিন আছে বিক্রির পরিমাণ বাড়বে। কোরবানীর হাট নিয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মাহবুবুল আলম জানান, হাটগুলোতে দেশীয় গরুর প্রাধান্য বেশি। হাটে আসা গবাদি পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় একটি মনিটরিং টিম ও একটি ভেটিনারী মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক মাঠে কাজ করছে।