কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় বালাগঞ্জ ডি.এন মসজিদের বেহাল দশা
টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:০২:৫২,অপরাহ্ন ১৪ আগস্ট ২০১৯ | সংবাদটি ৭০১ বার পঠিত
পলেস্তোরা খসে পড়ছে নামাজরত মুসল্লীদের উপর!
তারেক আহমদ, বালাগঞ্জ:
উন্নয়ন আর ব্যবস্থাপনার অভাবে বালাগঞ্জ ডি.এন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মসজিদের অবস্থা এখন খুবই শোচনীয়। বিদ্যালয়ে বড় বড় বিল্ডিং এবং অভ্যন্থরীন বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পাদিত হলেও অবহেলায় রয়ে গেছে বালাগঞ্জ ডি.এন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মসজিদটি। মসজিদের ভিতরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পলেস্তারা থেকে টুকরো টুকরো হয়ে নামাজরত মুসল্লীদের উপরে পড়ছে। এতে যেকোন সময় বড় ধরনের বিপদের আশঙ্কা করছেন মসজিদে আগত মুসল্লিরা। মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসা কয়েকজন মুসল্লির সাথে আলাপকালে জানা যায়, বৃষ্টির দিনে মসজিদের ছাঁদে এবং চার দেয়ালে পানি ছুঁয়ে পড়ে। এত নিদারুন কষ্টে নামাজ আদায় করতে হয় মুসল্লিদের।
বালাগঞ্জ ডি.এন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মসজিদের ইমাম মাওলানা আলী আসগরের সাথে আলাপকালে যানা যায়, মসজিদটির উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার দ্বায়িত্ব বালাগঞ্জ ডি.এন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উপর অর্পিত।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মসজিদের বারান্দার ছাদ থেকে টুকরো টুকরো হয়ে পলেস্তারা নিচে পড়ছে। এছাড়া দেয়ালের বেশ কয়েকটি অংশের পলেস্তারা ছুটে যাচ্ছে।
এদিকে মসজিদের ইমামের শোয়ার কক্ষের অবস্থাও আরো বেশি শোচনীয়। ইমামের শোয়ার জন্য যে খাটের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে তাও এখন ভেঙ্গে গেছে। ফলে মসজিদের ইমামকে অপারগ হয়ে মাটির মধ্যে পাটি বিছিয়ে শোতে হয়। এ
বিষয়ে ডি.এন কর্তৃপক্ষকে বারবার অবগত করলেও কর্তৃপক্ষ উদাসীনতার পরিচয় দেন বলে জানান বালাগঞ্জ ডি.এন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মসজিদের ইমাম মাওলানা আলী আসগর।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বালাগঞ্জ ডি.এন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন- কোনো উন্নয়ন কাজে হাত না দেয়ার জন্য মন্ত্রনালয় থেকে পরিপত্র জারি করা আছে।
জানা যায়, বালাগঞ্জ ডি.এন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল মুসলিম শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রায় পাচ হাজার টাকা ইমামের বেতন বাবদ নেয়া হয়। আর ইমামকে সম্মানী দেয়া হয় মাত্র দুই হাজার টাকা। তাছাড়া শুধু থাকা বাদে ৩ বেলাই ইমামকে নিজ দ্বায়িত্বে খেতে হয়।
জরুরী ভিত্তিতে মেরামত করার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন মসজিদের মুসল্লীরা।