গ্রেনেড হামলা ছিল রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতেই এ হামলা চালানো হয়েছিল …. আশফাক
জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের আলোচনা সভা
টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:০৫:৫৮,অপরাহ্ন ২১ আগস্ট ২০১৯ | সংবাদটি ৩৯৬ বার পঠিতসিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ বলেছেন ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা সাধারণ কোনো ঘটনা নয়,এটি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সংঘটিত একটি সন্ত্রাসী কর্মকা ।দেশ থেকে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতেই এ হামলা চালানো হয়েছিল। সেদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও ঘাতকদের গ্রেনেডে নিহত হন আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মী।
তিনি বলেন, তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এই হত্যাকা- হয়েছিল।গ্রেনেড হামলায় বেগম আইভি রহমানসহ ২৪টি প্রাণ ঝরে গেলো।বিএনপি-জামায়াত পরিকল্পিতভাবেই সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায়।সেদিনের গ্রেনেড হামলা ছিল পুরোপুরি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস।
তিনি আরো বলেন, সেই হামলার কথা মনে হলে গা শিউরে উঠে। ওই ঘটনায় তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী,আমলা,পুলিশ-গোয়েন্দা,রাজনৈতিক নেতা এবং মুফতি হান্নানের হরকাতুল জিহাদ আল বাংলাদেশকে (হুজি) ঐক্যবদ্ধভাবে এ নারকীয় হত্যাকান্ড চালায়।
২১ আগস্টে মূল টার্গেট ছিল আওয়ামী লীগ ও মুজিব পরিবারকে নির্মূল করতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করা। এই গ্রেনেড হামলা ছিল বিএনপি-জামায়াত জোট তথা খালেদা-নিজামীর নীলনকশা আর জঙ্গিবাদ উত্থানের ভয়ঙ্কর দৃষ্টান্ত। বিশ্বজুড়ে তোলপাড় হওয়া গ্রেনেড হামলার সেই ঘটনার ভয়াবহতা আমাদের হতবাক করে দিয়েছিল।
তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহতদের সুস্থতা কামনা এবং স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন।
গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে শোক সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন-সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শফিকুর রহমানচৌধুরী,আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবেক এমপি সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক,সহ-সভাপতি এডভোকেট শাহ ফরিদ আহমদ,এডভোকেট রাজ উদ্দিন, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিজিত চৌধুরী,জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক,মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসাইন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল,জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সাইফুল আলম রুহেল, নুরুল ইসলাম পুতুল, শ্রী জগদিস দাস,সৈয়দ শামীম আহমদ, শ্রী রনজিৎ সরকার, ডাঃ আরমান আহমদ শিপলু, এডভোকেট ইশতিয়াজ আহমদ চৌধুরী, এডভোকেট খোকন কুমার দত্ত, এমাজ উদ্দিন মানিক, দিবাকর ধর রাম, তপন মিত্র, নাজনিন হোসেন, আব্দুল হাসিব মনিয়া,
এডভোকেট এমাদ উদ্দিন, সামসুন নাহার মিনু,এডভোকেট বদরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, এম.এ শামীম চৌধুরী জাহাঙ্গীর, সালাহ উদ্দিন সালাই, ছানাউর মিয়া, জিয়াউর রহিম চৌধুরী, মোর্শেদ, সালমা বাছিত, এডভোকেট সালমা সুলতানা, শামিম আহমদ (ভিপি) সিলেট জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি,সাধারণ সম্পাদক মো.শামীম আহমদ,মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুসফিক জায়গীরদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসর আজিজ, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম রশীদ চৌধুরী, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশ দাস মিঠু, এ. জেড রওশন জেবিন রুবা, মাধুরী গুণ, মারিয়ান চৌধুরী মাম্মী, বেলাল খান, মনিরুজ্জামান সেলিম, সোহেল আহমদ সাহেল, অরুণ দেবনাথ সাগর, এম রশিদ আহমদ, এম ইলিয়াস দিনার, বদরুল ইসলাম খান কামরান, এম.জেড আলম, ড. জাহানারা খানম মিলন, সাজেদা পারভীন, বিলকিস নুর, আসমা সরকার, রাশিদা সাইদা খানম, বাইতুননেছা, খালেদ চৌধুরী, এম সাইফুর রহমান, মদন মোহন কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সানি, মিফতাহুল হোসেন মিলন ।
শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত মোঃ আব্দুস সোবহান।
সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।