বিশ্বনাথে বাড়ির রাস্তা দখলে বাধা, দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ১২

টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৫৬:৩৫,অপরাহ্ন ২২ আগস্ট ২০১৯ | সংবাদটি ৪৪২ বার পঠিতসিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় বাড়ির রাস্তা দখলে বাধা দেওয়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নারীসহ এক যুক্তরাজ্য প্রবাসী ও উভয় পক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের মটুককোনা গ্রামের মৃত নুরুজ আলীর ছেলে লন্ডন প্রবাসী আখতার হোসেন ও আব্দুল আহাদের ছেলে সেলিম মিয়া পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদেরকে স্থানীয়রা প্রথমে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
তবে, আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় যুক্তরাজ্য প্রবাসী আখতার হোসেন (৪০), তার ছোটভাই শাহজাহান মিয়া (৩৫), মিজানুর রহমান (৩০) ও ফারহান হোসেনকে (২৫) এম্বুলেন্সযোগে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আখতার হোসেনের দাবি, প্রতিপক্ষের লোকজন দেয়াল নির্মাণ করে বাড়ির রাস্তা বন্ধ করতে চাইলে তারা বাঁধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের উপর হামলা করেন।
অন্যদিকে সেলিম আহমদ কিংবা তার অপর ভাইদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাদের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তাদের চাচী আবেদা বেগমের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, মালিকানা কারো আছে কিনা, তা তিনি জানে না। তবে, রাস্তায় দেয়াল নির্মাণকালে এ সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মটুককোনা গ্রামের আখতার হোসেন ও সেলিম আহমদ একে অপরের চাচাতো ভাই ও পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা। আর দুই বাড়ির মধ্যখানে সরকারি গোপাটকেই রাস্তা হিসেবে উভয় পক্ষ ব্যবহার করে আসছেন। বৃহস্পতিবার সেলিম আহমদ পক্ষের লোকজন তাদের বাড়ির সামনে ওই রাস্তায় দেয়াল নির্মাণ করে দখল করতে চান।
এসময় আখতার পক্ষের লোকজন দেয়াল নির্মাণ কাজে বাঁধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা ও পরে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে আখতার পক্ষের প্রবাসী আখতার হোসেন (৪০), প্রবাসীর ভাই শাহজাহান মিয়া (৩৫), মিজানুর রহমান (৩০) ফারহান হোসেন (২৫), রেজওয়ান আহমদ (২৬) ও ছোটবোন তান্নি বেগমসহ (২০) ৮ জন আহত হন।
আর অপর পক্ষে সেলিম আহমদ (৪০), সায়েক আহমদ (৩০), লায়েক আহমদ (২৬) আহত হন।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেছেন, মারামারির খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন। মামলার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।