১ মাসেও ছালিক মিয়া হত্যার আসামী গ্রেফতার হয়নি
টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:৪৩:৫০,অপরাহ্ন ২৫ আগস্ট ২০১৯ | সংবাদটি ৪২২ বার পঠিত
দক্ষিণ সুরমায় এক মাসেও ছালিক মিয়া হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতার করা সম্ভব না হওয়ায় ছালিক মিয়া পরিবারের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। গত ২২ জুলাই সোমবার বিকালে বরইকান্দি ইউনিয়নের চান্দাই তালুকদারপাড়া গ্রামের ছালিক মিয়া (৪৫) বাড়ির রাস্তার বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হন।
ছালিক মিয়া খুন হওয়ার ঘটনায় তার ভাই জুবেদ আহমদ বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১৭, তারিখ- ২২/০৭/২০১৯ইং। মামলায় আসামীরা হচ্ছে- চান্দাই তালুকদারপাড়া গ্রামের ওয়াহিদ উল্লাহ গেদন মিয়ার ছেলে আলীম উদ্দিন রবিন, আব্দুল মুকিত, আছাব আলীর ছেলে সেলিম আহমদ, শামীম আহমদ ও মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে ওয়াহিদ আলী গেদন মিয়া।
মামলায় জুবেদ আহমদ উল্লেখ্য করেন, চাচা গেদন মিয়া গংদের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে ভূমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। বাড়ির রাস্তায় ইট বিছানো নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ২২ জুলাই গেদন মিয়া গং ছালিক মিয়ার উপর চাইনিস কুড়াল ও ধারালো ছুরি দিয়ে হামলা চালায়। আসামীরা ছালিক ও জাহেদকে চাইনিস কুড়াল ও ধারালো ছুরি দিয়ে মাথা থেকে পা পর্যন্ত রক্তাক্ত ক্ষত-বিক্ষত করে। এ সময় ছালিক মিয়াকে বাঁচাতে তার ভাই জাহেদ মিয়া ছুটে আসলে হামলাকারীরা তাকেও রক্তাক্ত জখম করে। এতে তারা দু’জন গুরুতর আহত হন। তাদের আত্মচিৎকার শোনে ছালিক মিয়ার মা তাদেরকে উদ্ধার করে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল সাড়ে ৫টায় ছালিক মিয়া মৃত্যুবরণ করেন। গুরুতর আহত জাহেদ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
হত্যা মামলা দায়েরের পর দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ গত ২ আগস্ট পর্যন্ত এজহারভূক্ত ৫ আসামীকে আটক করতে না পারায় গত ৩ আগস্ট মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সিলেট সিআইডি তদন্তকারী কর্মকর্তা রিপন কুমার দে মোবাইল টেকিং এর মাধ্যমে মামলার এজাহার ভুক্ত ১নং আসামী আলীম উদ্দিন রবিন এর বন্ধু গোলাপগঞ্জ উপজেলার উত্তরবাঘা গ্রামের হেলাল আহমদ মজুমদারের ছেলে মামুন আহমদ মজুমদারকে গত ১৫ আগস্ট আটক করে রিমান্ডে নিয়ে আসামীদের অবস্থান সনাক্ত করণের চেষ্টা করে। কিন্তু তার কাছ থেকে কোন তথ্য উদ্ধার করতে পারেনি।
এদিকে আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে এলাকার জনগণ শিববাড়িতে মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। এরপরও আসামীরা গ্রেফতার না হওয়ায় বাদী ও তার পরিবারের সদস্যবৃন্দ নিরাপত্তা হীনতায় ভোগছেন।
ছালিক মিয়া খুন হওয়ার পর তার ১৬ মাসে অবুঝ শিশু ছেলে ও সাড়ে ৪ বছরের মেয়ে সারাক্ষণ পিতাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। পিতাকে হারানো অবুঝ দু’ শিশুকে শান্তনা দেয়ার ভাষা পরিবারের সদস্যরা হারিয়ে ফেলেছে।
মামলার সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তা রিপন কুমার দে এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আগস্ট মাসের ৩ তারিখ তিনি মামলাটি হাতে পেয়েছেন। এরপর থেকেই এজহারভুক্ত আসামীদের গ্রেফতার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।