মিথ্যা মামলা থেকে পুত্রকে মুক্তি দিতে পুলিশ কমিশনারের হস্তক্ষেপ চাইলেন পিতা
সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন
টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৩৫:০৬,অপরাহ্ন ২৫ আগস্ট ২০১৯ | সংবাদটি ৩৬৪ বার পঠিতব্যবসায়ী ছেলের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এক পিতা। হয়রানিমূলক মামলা থেকে মুক্তি পেতে তিনি এসএমপি কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। রোববার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ আর্তি জানিয়েছেন নগরীর শেখঘাটের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার পুত্র মিনহাজুল ইসলাম একজন ব্যবসায়ী। কোনো অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত না থাকা সত্বেও তার ছেলেকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে এবং বাসা-বাড়িতে পুলিশি তল্লাশির কারণে তাদের পরিবার আতঙ্কে রয়েছে। তিনি বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইনে ২০০৮ সালে এসএমপির কোতোয়ালি মডেল থানায় দায়ের করা একটি মামলায় (নং ৮৬/০৮) তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই বছরের ৭ মার্চ ভোররাত ৪টার দিকে শেখঘাটস্থ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে পুলিশ তাকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার দেখায়। যা সত্য নয়। এছাড়া এই মামলায় তার ছেলের নাম আসামি তালিকায় ছিল না দাবি করে তিনি বলেন, শুধুমাত্র হয়রানির উদ্দেশ্যে তাকে জড়ানো হয়েছে। এ মামলায় তার ছেলে খালাস পেলেও একই ধরনের আরো কয়েকটি মামলায় পরবর্তীতে তাকে জড়ানো হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। সেই মামলাগুলোতেও সে খালাস পেয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন, সর্বশেষ গত ২১ এপ্রিল মাদক উদ্ধারের ঘটনায় জালালাবাদ থানায় দায়ের করা মামলায় তার ছেলে মিনহাজকে আসামি করা হয়। আসামি ধরার নামে গত ২৩ আগস্ট রাত ২টায় তালা ভেঙ্গে শেখঘাটস্থ বাসায় এবং দক্ষিণ সুরমাস্থ খালোপারের বাড়িতে অভিযান চালান এসআই সাজ্জাদ ও এসআই পাশার নেতৃত্বে একদল পুলিশ। এ সময় তারা বাসাবাড়ির আসবাবপত্র তছনছ করে চলে যান। এতে পরিবারের সদস্য ও ভাড়াটিয়াদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়। সেদিন তাকে না পেয়ে আবারও ২৫ আগস্ট সকালে বাসায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। কি কারণে বাসায় তল্লাশি করছেন জানতে চাইলে মামলার কথা উল্লেখ করে মিনহাজের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে বলে জানান এসআই বিমল। তিনি দাবি করেন তার ছেলে মিনহাজুল মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত নয় এবং মাদক সেবনও করে না। সংবাদ সম্মেলনে আমিরুল ইসলাম সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তার ছেলেকে হয়রানি ও মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি দিতে পুলিশ কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।