সিলেটের জুয়া সম্রাট জাহাঙ্গীর গংদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি
সিলেট প্রেসক্লাবে ব্যবসায়ী রুবেলের সংবাদ সম্মেলন
টাইম ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৫৫:০৫,অপরাহ্ন ১৬ অক্টোবর ২০১৯ | সংবাদটি ৩২৮ বার পঠিতসিলেট নগরীর কাজিরবাজারসহ ১২নং ওয়ার্ড এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এলাকার জুয়া সম্রাট জাহাঙ্গীর আলম ও তার সহযোগিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শেখঘাটের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী রুবেল আহমদ। একই সাথে তার রাজনৈতিক ব্যক্তিদের জড়িয়ে জাহাঙ্গিরের ভাই স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিকন্দর আলীর মিথ্যাচারের প্রতিবাদও জানান তিনি।
তিনি এও বলেন, সিকন্দর আলী তার ভাইয়ের অপকর্ম ঢাকতে গত ০৯/১০/২০১৯ইং তারিখে সম্পূর্ণ মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন নিজেদের অপকর্মকে নির্দোষ হিসেবে প্রমাণ করার হীন চেষ্টা করেন এবং আমিসহ এলাকার অন্যান্য গণ্যমান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গকে উদ্দেশ্য করে তাদেরকে জড়িয়ে মিথ্যাচারের আশ্রয় নেন। অথচ তার ভাই জাহাঙ্গির আলম কাজির বাজারে জুয়ার বোর্ড থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন; একই সাথে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজায় ৬ মাসের কারাভোগও করেছিলেন।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সিলেট প্রেসক্লাবের আমিনুর রশীদ চৌধুরী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এসব কথা বলেন। রুবেল আহমদ জাহাঙ্গির আলমের আপন চাচাতো ভাই। এসময় তিনি কাউন্সিলর সিকন্দর আলীর পরিবারের হাত থেকে তার ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জান-মালের নিরাপত্তা ও মিথ্যা মামলার হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপও কামনা করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমি ও আমার পরিবার মৎস্য আড়ৎদার ব্যবসায়ী। সিলেটের জুয়া স¤্রাট জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে গত ০৭/১০/২০১৯ইং তারিখে দৈনিক যুগান্তরের ৩য় পাতায় প্রকাশিত “আলোচনায় সিলেটের ‘জুয়ার স¤্রাট’ : মাছ বিক্রেতা থেকে টাকার পাহাড় গড়েন জাহাঙ্গীর” শিরোনামে সংবাদটি প্রকাশিত হয়। এই খবর প্রকাশের পর হইতে সিলেট শহরে সর্বমহলে আলোচনার শীর্ষে ছিল এই সংবাদটি। পরদিন এই সংবাদটি এলাকার সর্বস্তরের মানুষের কাছে প্রচুর গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে। যার ফলশ্রুতিতে এলাকার মানুষ স্বস্তি লাভ করে এবং লোকজন ভাবে এলাকা থেকে এই পরিবারের অপশক্তি ও দৌরাত্ম নির্মূলে সংবাদপত্রের মাধ্যমে তথ্য প্রচারের কারণে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সুনজরে আসবে এবং তাদের ত্রাসের সাম্রাজ্য থেকে এসব অপরাধ নির্মূল হবে বলে এলাকাবাসী আশায় বুক বেধে আছেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রায় ১ যুগেরও বেশি সময় ধরে জাহাঙ্গিরের নেতৃত্বে মৎস্য বাজারের সমিতির ভবনে শিলং তীর ডে, শীলং তীর নাইট, ওয়ান টেন, ঝান্ডুমান্ডু ইত্যাদি এবং বিভিন্ন রকমের তাস খেলার পরিচালিত হয়ে আসছে। বাজারের বিভিন্ন কর্মচারী, দিনমজুর ও বহিরাগত শ্রমিকরা প্রতিদিনের আয় বিসর্জন দিয়ে আসেন এসব জুয়া খেলায়। একই মাদকেরও ছড়াছড়ি রয়েছে। এলাকার যারাই এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলেছে তাদেরকে জাহাঙ্গীর ও আসকিরের নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা আক্রমন করে ক্ষতি করে থাকেন এবং এদের উপর নেমে আসে মিথ্যা মামলা, জেল-জুলুম ও নির্যাতন। যার কারণে সাহস করে কেউ আর প্রতিবাদ করেনা এটাই তাদের অপরাধ কর্মকান্ড পরিচালনার একটি কুট কৌশল।’
তার দাবি, তিনি জাহাঙ্গিরের এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তারা কৌশলে তাদের গুন্ডাবাহিনী দিয়ে আমার সাথে ঝামেলা বাঁধিয়ে চুরি ও মারামারির মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এছাড়া তার ৪ ভাইকেও একাধিক মামলায় জেলে পাঠিয়েছে তারা। এ কারণে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের সমাজে মান সম্মান ক্ষূন্ন করে এবং আমাদের ৪ ভাইয়ের ব্যবসা বাণিজ্য সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং বর্তমানে আমরা ঋণগ্রস্থ হয়ে আর্থিকভাবে সংকটে পড়েছেন। আজকের এই অবস্থার জন্য একমাত্র দায়ী জুয়া সম্রাট জাহাঙ্গীর আলম, কাউন্সিলর সিকন্দর আলীর পরিবার বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জাহাঙ্গীর ও তার ৪ ভাইয়ের অবৈধ আয়ে ক্রয় করা ও জবর দখল করা শত শত কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তির বিবরণও তুলে ধরেন।