সন্ত্রাসী চক্রের কার্যকলাপে অতিষ্ঠ আখালিয়ার নোয়াপাড়াবাসী
টাইম ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৩৭:১০,অপরাহ্ন ২০ নভেম্বর ২০১৯ | সংবাদটি ২৯৬ বার পঠিতসিলেট নগরীর আখালিয়ার নোয়াপাড়াবাসী চিহ্নিত সন্ত্রাসী রাজন-সুমন চক্রের ‘যন্ত্রণায়’ অতিষ্ঠ। এদের বিরুদ্ধে পুলিশ এ্যাসল্টসহ একাধিক মামলাও রয়েছে। তারা ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম, চাঁদাবাজি, লুটপাটসহ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সম্প্রতি চাঁদা না পেয়ে ওই এলাকার শাওন ও জুনেদের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে এ চক্রের সদস্যরা। এ ঘটনার পর তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের হয়েছে। তবে হামলাকারী সন্ত্রাসীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। এমতাবস্থায় এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এ সন্ত্রাসী চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন আহত জুনেদ আহমদের পিতা নোয়াপাড়ার বন্ধন এ/১২ এর বাসিন্দা বশির মিয়া।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘রাজন-সুমন চক্রের সদস্যরা আগে বিএনপির কতিপয় ক্যাডার নেতার ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করত। আর এখন তারা আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, লুটপাট করে এলাকায় মূর্তিমান আতঙ্ক হিসেবে নিজেদের প্রকাশ করছে। এতকিছু করার পরও তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, গত ১১ নভেম্বর রাতে তার ছেলে জুনেদ আহমদ ও একই এলাকার শাওন আহমদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায় সুমন মিয়া, ইমন আহমদ, শাকিল আহমদ, শাকিব, রিপন, তানভীর, হাসান, মুন্না, কালাশাহ, রুম্মান, ইউছুফ আহমদ, হানিফ, মারুফ আহমদ ও জনিসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০ জন। হামলাকারীরা সকলেই রাজন-সুমন চক্রের সদস্য। তাদের হামলায় দুজনেই মারাত্মক আহত হয়। এখনো আশঙ্কাজনক অবস্থায় তারা ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’
ঘটনার পরদিন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এই সন্ত্রাসী হামলার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত জুনেদের ভাই খালেদ হোসেন বাদি হয়ে জালালাবাদ থানায় উপরোক্ত সন্ত্রাসীদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১০, তারিখ ১২/১১/১৯। মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জনকে আসামি করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি।
তিনি বলেন, ‘আহত শাওন আহমদের পরিবার নোয়াপাড়া এলাকায় নতুন বাড়ি করে এসেছে। এজন্য তাদের কাছে নোয়াপাড়ার বাবু মিয়ার পুত্র রাজন ও সুমন চাঁদা চেয়েছিল। তাদের দাবিকৃত চাঁদা না পাওয়ায় তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালায়। আমার ছেলে যেহেতু শাওনের সাথে সব সময় চলাফেরা করে তাই তারা তাকেও টার্গেট করে। ওইদিনের হামলা মূলত চাঁদা না দেওয়ার কারণেই।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বর্তমানে রাজন কারাগারে রয়েছে। সুমনও জেল খেটেছে। তবুও তাদের অপরাধ কর্মকান্ড থেমে নেই। আইনের ফাঁকফোঁকরে বেরিয়ে এসে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে আমরা এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। প্রায়ই সন্ধ্যার পর পরই আখালিয়া থেকে নয়াবাজার এবং নয়াবাজার থেকে আখালিয়াগামি টমটম যাত্রীদের গতিরোধ করে তারা ছিনতাই করে যাচ্ছে। এলাকায় মাদকের বিস্তার ঘটাচ্ছে তারা।’
তিনি সন্ত্রাসী রাজন-সুমন সহোদর চক্রের হাত থেকে এলাকাবাসীকে মুক্তি দিতে সংশ্লিষ্ট সকল মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ফারুক মিয়া, এডভোকেট কিবরিয়া, মাহবুব, কয়েছ আহমদ, হাফিজ উদ্দিন, সামসউদ্দিন, আব্দুল আহাদ, সিদ্দেক আলী, মাসুক মিয়া, আব্দুল হাফিজ, আজাদ, আব্দুল আহাদ, আব্দুল মালেক, রুহিন, রকি প্রমুখ।