সিলেট জেলা ও মহানগর আ.লীগের আলোচনা সভা
টাইম ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:২৪:০৫,অপরাহ্ন ১০ জানুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ৩০৯ বার পঠিতশাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। আমরা সার্বভৌম বাংলাদেশ পেতাম না। বাঙালি জাতির নির্দিষ্ট মানচিত্রও তৈরি হতো না। আজকে আমরা বাংলাদেশ পরিচয়ে বিদেশের দূতাবাসে, জাতি পরিচয়ে কর্মযজ্ঞ চালাতে পারতাম না। তাই বঙ্গবন্ধুর এ ঋণ কোনো দিন শোধ করার নয়।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসাইনের যৌথ পরিচালনায় সভায় বক্তব্যে রাখেন মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগারের সভাপতি সাংবাদিক আল আজাদ।
এসময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা। তিনি শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টাই নন, স্বাধীনতা-উত্তর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের জন্য স্বীকৃতি আদায়ে তাঁর প্রাজ্ঞ রাষ্ট্রনীতি ও কূটনীতি তাঁকে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতার মর্যাদায় আসীন করেছে।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি প্রফেসর সৈয়দ সামসুল আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। রাজনীতির মঞ্চে এসে এ মহানায়ক রাজনীতিবিদ থেকে হয়ে উঠেছিলেন ‘বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের প্রতীক’। হয়তো প্রাগৈতিহাসিক আমল থেকেই বাঙালি জাতি যার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন তিনি শেখ মুজিব। বাঙালি জাতি বারবার বহিঃশত্রুর হাতে নির্যাতিত হয়ে আসছিল, শোষণ-বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছিল আর এসব থেকে পরিত্রাণ পেতে একজন ত্রাতার অপেক্ষা করছিল। একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্ম দিয়ে শুধু একটি পতাকা বা মানচিত্রই নয় বঙ্গবন্ধু এ জমিনের মানুষকে তাদের শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তিও দিয়েছিলেন।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদের স্বাগত বক্তব্যর মাধ্যমে সূচিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ, সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, আওয়ামী লীগ নেতা তুহিন কুমার দাস, এডভোকেট রাজ উদ্দিন, এডভোকেট নিজাম উদ্দিন, বিজিত চৌধুরী, ফয়জুল আনোয়ার আলাউর শাহ মোশাহিদ আলী প্রমুখ।