নগরীর শাহী ঈদগাহে বসতভিটাসহ মার্কেট দখল চেষ্টার অভিযোগ
টাইম ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:১৮:৪১,অপরাহ্ন ১৫ জানুয়ারি ২০২০ | সংবাদটি ২৪২ বার পঠিতনগরীর শাহী ঈদগাহে বসত ভিটাসহ মার্কেট দখলের চেষ্টা করছে একটি চক্র। প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন মহলে ঘুরেও প্রতিকার পাননি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা। বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমনই অভিযোগ করেছেন শাহী ঈদগাস্থ ফিরোজ ম্যানশনের স্বত্তাধিকারী মৃত ফিরোজ খানের পুত্রবধূ জোহেলা বেগম রুমি।
সংবাদ সম্মেলনে রুমি জানান, ফিরোজ খান ১৯৬৬ সালের ১৬ এপ্রিল খরিদা সূত্রে ১৯টি দাগে বিভিন্ন খতিয়ানে ১.১৯২৫ একর ভূমির মালিক হন। বর্তমানে এই জায়গা নিয়ে আদালতে একটি মামলা বিচারধীন অবস্থায় আছে। মৃত আব্দুল লতিফের পুত্র মামলার বিবাদী সুয়েব নবী ২০১৫ সালে জাল দলিলের মাধ্যমে জায়গাটি দখল নেয়ার চেষ্টা করেন। এবং গত বছরের ২৯ মে শতাধিক লোক নিয়ে ফিরোজ ম্যানশনের ১২টি দোকান কোঠা ও পিছনের বসত ভিটায় আক্রমণ করে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালান। সেই সময় পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে পুলিশ তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সমর্থ হয়।
তিনি আরো জানান, ১৯৬৬ সাল থেকে তার শশুর মত্যুর পূর্ববতী সময় পর্যন্ত এই বাড়িতে তারা বসবাস করে আসছিলেন। বর্তমানে ফিরোজ খানের ৬ ছেলে ও ৮ মেয়ে পরিবারসহ বসবাস করেছেন। এখনও দখল চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন সুয়েব নবী। তার লোকজন নিয়মিত ফিরোজ ম্যানশনের আশ-পাশে ঘোরাফেরা করে এবং পরিবারের লোকদের নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখায় বলেও অভিযোগ করেন জোহেলা বেগম রুমি।
তিনি জানান, দখলদারদের ভয়ে তার স্বামী, দেবর ও ননদের স্বামীরা ঠিকমত নিজের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছে না। ফলে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। অব্যাহত হুমকি ধমকির বিষয় উল্লেখ করে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে গত বছরের ১ জুন সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (নং-১৯১২) করা হয়।
এলাকার মুরব্বিয়ানদের সহযোগিতা চেয়েও আশানুরূপ ফলাফল পাননি অভিযোগ করে রুমি বলেন, এলাকার মুরব্বিরা বিচারের আশ্বাস দিয়ে একটি শালিসি কাগজ তৈরি করে এমন কিছু শর্ত জুড়ে দেন যা আমাদের পক্ষে মানা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া মার্কেটের ১১টি দোকানের ভাড়া তোলার ক্ষমতা মুরব্বিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ফলে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তাদের পরিবার।
রুমি আরো অভিযোগ করেন, ভূমিখেকো চক্রটি জাল দলিল (নং ৮৬০৭) তৈরি করে মার্কেটের ১২টি দোকান দখলের প্রচেষ্টা চালায়। রুমি বলেন, ‘সুয়েব নবী ঐ ভূমির পাওয়ার অব এটর্নি দেন তার ভাগনে সৈয়দ আশরাফকে। আশরাফ অনেক চেষ্টা করেও সম্পত্তি দখল করতে না পেলে শাহী ঈদগাহের একটি সন্ত্রাসী চক্র দিয়ে প্রতিনিয়ত আমাদের হয়রানি করে আসছেন। একজন জনপ্রতিনিধি উক্ত ভূমিতে জড়িত হওয়ায় আশঙ্কা প্রকাশ করে রুমি বলেন, না দেখে না বুঝে ওই জনপ্রতিনিধি কিভাবে এই বিষয়ে জড়িত হলেন। আমরা অসহায় জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি ন্যায়ের পক্ষে থাকবেন এমনটাই আশা করি।’ সংবাদ সম্মেলনে রুমি বলেন, আদালতে বিচারাধীন মামলায় যদি বিবাদিরা উক্ত ভূমির মালিক হন তবে তারা তা তাদের হাতে হস্তান্তর করে দিবেন। বিচার কার্য সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত জান মালের নিরপত্তার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন নাঈম খান, মিলি বেগম, আরেতুল বেগম, আরমান খান সজল, মুমিন খান, ফারুক খান, রাজ্জাক দেওয়ান, মো. আরিফ ও মান্না খান।