করোনা নয় কিস্তির যন্ত্রণায় মরবো আগে!

টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৫৫:৫৬,অপরাহ্ন ২৫ মার্চ ২০২০ | সংবাদটি ৫৩৪ বার পঠিত
বিশ্বনাথ থেকে আনহার বিন সাইদঃ
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও মহামারী করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয় গত ৮ই মার্চ। এরপর থেকে আন্তর্জাতিক সাস্থ্য সংস্থাসহ বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সচেতনতা ও সতর্কতা অবলম্বন করার গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশী অফিস আদালত সর্বত্র বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। দ্রব্য মূল্যসহ মানুষের সাধারণ নিরাপত্তা স্থিতিশীল রাখতে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে বিশ্ব মন্দা পরিস্থিতি বিবেচনা করে গ্যাস, বিদ্যুৎবিল, ব্যাংকঋণ পরিশোধে স্থিতিশীলতা আরোপ করেছে সরকার। কিন্তু থেমে নেই এনজিও সংস্থাগুলোর সপ্তাহিক কিংবা মাসিক ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি উত্তোলন। গ্রামের সাধারণ মানুষকে স্বাবলম্বী করার স্বপ্ন দেখানো এইসব সংস্থা গুলোকে কেউ ঠেকাতে পারছেনা। অসহায়, সাধারণ খেটে-খাওয়া মানুষকে সামান্য টাকা ঋণ দিয়ে করতেছে স্বর্বস্ব। করনাে ভাইরাসের ভয়ে জনজীবন যেখানে অতিষ্ঠ, কলকারখানা বন্ধ, দিনমজুরের মাথায় হাত! সেখানে সংস্থার কর্মীরা নাছোড়বান্দা হয়ে কিস্তি উত্তোলন করছেন।
বিশ্বনাথে পান ব্যবসায়ী ইলাছ মিয়া ১০হাজার টাকা কিস্তি তুলেন সপ্তাহে ৩শ টাকা দেয়ার চুক্তিতে ব্রাক কামাল বাজার (দ. সুরমা) শাখা থেকে। সাধারণত প্রতি সপ্তাহে কিস্তি পরিশোধ করলেও-করোনার কারণে দুই সপ্তাহ অবধি আতংকে কাষ্টমার শুন্যের কাছাকাছি। কিন্তু কিস্তির প্রতিনিধি দরজায় হাজির। কাঁদো কাঁদো অবস্থায় বলেন, করোনা নয়! কিস্তির যন্ত্রণায় মরবো আগে”।
মানবিক দিক বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন যদি-স্থানীয় এনজিও সংস্থা গুলোকে ক্ষুদ্রঋণ পরিশোধে নজর দেয়! তাহলে-সাধারণ মানুষেরা কিছুটা হলেও বাঁচার স্বপ্ন দেখবে।