মন্ত্রী টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ: বৃটেনে তোলপাড়

টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:২৭:০৫,অপরাহ্ন ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | সংবাদটি ২৩ বার পঠিত
ঝর্ণা বেগম, যুক্তরাজ্য থেকে :: ব্রিটিশ মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ৪০০ কোটি ডলার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে। মন্ত্রী টিউলিপ এ নিয়ে বেশ চাপের মুখে রয়েছেন।
ব্রিটেনের প্রথম সারির পত্রিকাসহ আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় লন্ডন-বাংলাদেশে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিশেষ করে লন্ডনের বাঙালি কমিউনিটিতে চলছে ব্যাপক তোলপাড়।
বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি ও বাংলাদেশে আওয়ামী বিরোধীরা এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা অব্যাহত রাখায় টিউলিপ সিদ্দিক মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে।
তবে এবার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তার ট্রেজারি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিককে নির্দোষ বলে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। টিউলিপের খালা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাদের পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে।
বাঙালি কমিউনিটির নেতা আবু তাহের বলেন, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ এখনো তদন্ত চলছে।
এই অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয় তাহলে সেটা হবে দেশের ও কমিউনিটির জন্য লজ্জার ।
রাষ্ট্রদূত সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী তার ফেসবুক স্টেটাসে লিখেছেন, ‘ব্রিটেনের সর্বাধিক প্রচারিত প্রভাবশালী ট্যাবলয়েড দৈনিক, ডেইলি মেইলের প্রথম পাতাজুড়ে জায়গা করে নিলেন শেখ রেহানার মেয়ে, ব্রিটিশ এমপি ও দেশটির জুনিয়র মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। পলাতক ও খুনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বোনের মেয়ের এই নজিরবিহীন কাভারেজে গর্বিত হতেই পারেন!
তবে রিপোর্টটি প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতিতে শেখ পরিবারের এই গর্বিত উত্তরাধিকারীর সংশ্লিষ্টতা নিয়ে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ইতিমধ্যে টিউলিপ সিদ্দিক, তার মা শেখ রেহানা এবং খালা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। বাংলাদেশের হাইকোর্টের আদেশে এই তদন্ত শুরু হয়।
অভিযোগ রয়েছে যে টিউলিপ সিদ্দিক ২০১৩ সালে মোট ১০ বিলিয়ন ডলারের পারমাণবিক চুক্তির ‘দালালি’ করতে সহায়তা করেছিলেন। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি রাশিয়ার রাষ্ট্র-সমর্থিত কোম্পানি রোসাটম দ্বারা নির্মিত হয়।
২০১৩ সালে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য করা চুক্তির মধ্যস্থতা করার অভিযোগ উঠেছে ব্রিটিশ মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে। এই মধ্যস্থতা করার সময় প্রকল্পের মোট ব্যয় বাড়িয়ে ধরে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
তবে টিউলিপ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ থেকে মুক্তি চেয়েছেন।