চুনারুঘাটে ভুমি অফিস কর্মচারীর সাজানো মামলায় সাপু মেম্বার আটক – প্রতিবাদের ঝড়
টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ১:২৭:৫০,অপরাহ্ন ০৪ মে ২০২০ | সংবাদটি ১২৬০ বার পঠিত
চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ চুনারুঘাটে ভুমি অফিসের কর্মচারীর সাজানো মামলায় আহম্মদাবাদ ইউপি ২নং ওয়ার্ড মেম্বার সফিকুর রহমান সাপু কে আটক করার অভিযোগ উঠেছে। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চুনারুঘাট থানার ওসি শেখ নাজমুল হক।
ঘটনাস্থলে না থেকেও মামলার আসামী অতপর থানায় ডেকে নিয়ে আটকের প্রতিবাদ করেন উপজেলা মেম্বার সমিতির সেক্রেটারী দুলাল মেম্বার সহ বেশ কয়েকজন।
এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়,চুনারুঘাট সদর ইউনিয়নের শিড়িকান্দি ভুমি অফিসের কর্মচারী ফারুক আহমেদ ও তার পিতা বিশগাও ভুমি অফিসের পিওন ফজল মিয়ার প্রতিবেশী ছয়শ্রী গ্রামের আটক সাপু মেম্বার।
উভয়ের মাঝে প্রায় সময় গ্রাম্য বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হত।সম্প্রতি একটি ভুয়া আইডি দিয়ে ফারুক আহম্মদ লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক কি ভাবে হলেন, সে বিষয়ে পোষ্ট করে কে বা কারা।ফারুক সন্দেহ করে সাপু মেম্বার কে।এর ই সুত্র ধরে গতকাল রবিবার সকালে ফারুকের আপন ফুফাতো ভাই ট্রাক্টর মালিক মোশাহিদের সঙ্গে ঝগড়া হয় ফারুক ও তার পিতা ফজল মিয়ার।প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় সাপু মেম্বার সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
ফারুক বিষয়টি সহকারী কমিশনার (ভুমি)মিল্টন চন্দ্র পাল করে ভুল তথ্য উপস্থাপন করে।
এসি ল্যান্ড তার ভুমি অফিসের কর্মচারীর শরীরে আঘাতের বিষয়টি জেলা প্রশাসক বরাবর জানালে তিনি মেম্বার সহ মামলা করার নির্দেশ দেন বলে সুত্র জানায়।
এরই প্রেক্ষিতে ফারুক মিয়া বাদী হয়ে নিরঅপরাধ সাপু মেম্বার সহ চুনারুঘাট থানায় মামলা দায়ের করে। পুলিশ সাপু মেম্বার কে থানায় খবর দিলে, সে সরল বিশ্বাসে থানায় যায় এবং পুলিশ তাকে আটক করে।
তাৎক্ষনিক আটকের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে সারা এলাকায় প্রতিবাদের ঝড় উঠে।ঘটনাস্থলে না থেকে কি ভাবে মারামারি ও সরকারী কাজে বাধার মত সাজানো মামলায় তাকে আটক করা হয়,এটাই এখন জনমনে প্রশ্ন?
এব্যাপারে জানতে সহকারী কমিশনার (ভুমি)? বারবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
ইউপি চেয়ারম্যান সনজু চৌধুরী বলেন,আমার মেম্বার সেখানে উপস্থিত ছিল না।তাহলে তাকে কি ভাবে আসামি করা হল।তিনি এঘটনার প্রতিবাদ জানান।