তথ্য জালিয়াতির অভিযোগে মস্তাক আহমদ পলাশকে হাইকোর্টের জরিমানা
টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:১৪:০২,অপরাহ্ন ০১ জুলাই ২০২০ | সংবাদটি ৩৮৮২ বার পঠিত
কানাইঘাটের লোভাছড়া পাথর কোয়ারীর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে গত মার্চ মাসে তারপর সময় বাড়ানোর জন্য ইজারাদার মস্তাক আহমদ পলাশ গত ০১ মার্চ ও ৩১মে ২০২০ইং সময় বাড়ানের জন্য আবেদন করেন এতে আদালত তাকে ১৫ দিনের সময় প্রদান করে।
এই সময় অতিক্রম হওয়ার পর তিনি পূনরায় আদালতের শরণাপন্ন হন। এবং তাকে আরো সময় বাড়ানোর আবেদন করেন। এতে আদালত তাকে আজ ৩০ জুন শুনানির সময় ধার্য করে। এদিকে কানাইঘাট ১ নং ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আহমদ সুলেমান তার এই সময় চাওয়ার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে পাল্ঠা পিটিশন দাখিল করেন যা আজ ৩০ জুন ২০২০ ইং বিচারপতি এনায়াতুর রহমানের ব্যাঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হয় এবং আদালত লোভা কোয়ারীর সাবেক মহালদার মস্তাক আহমদ পলাশকে ভূল তথ্য প্রদান ও তথ্য জালিয়াতির অভিযোগে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে এবং তার পক্ষে সাফাই গাওয়া ব্যারিস্টারকেও ২ হাজার টাকা জরিমানা করে।
উল্লেখ্য এদিকে গিয়াস উদ্দীন নামক একজন ব্যবসায়ী গত ৯ জুন ২০২০ তার নিজস্ব কিছু পাথর নামানোর নিমিত্তে হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চে সময় চেয়েছিলেন । এবং ভার্চুয়াল কোর্ট তাকে ৩০ দিনের সময় দিয়েছিল যার বৈধতা চেলেন্জ করে পরবর্তীতে ২০/০৬/২০২ ইং নজরুল ইসলাম ও খুরশেদ আলম শিপু এবং আহমদ সুলেমান হাইকোর্টে দ্বিপক্ষীয় রিট পিটিশন দাখিল করেন। এবং জবাব না থাকায় গিয়াস উদ্দীন তার মামলা উডড করে নিয়ে যান।
যদিও হাইকোর্ট আগামী ৭ জুলাই গিয়াস উদ্দীন জবাবের তারিখ ধার্য করেছে।
এদিকে ২৩ জুন হাইকোর্ট লোভা কোয়ারীর সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা সাপেক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বারিউল করিম খানকে নির্দেশনা প্রদান করে। এবং ২৪ জুন তিনি কেয়ারীতে অপারেশন পরিচালনা করে প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা সমমূল্যের সরঞ্জামাদী ধ্বংস করেন।
কিন্তু বারবার হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকা সত্বেও কোনোভাবে বন্ধ হচ্ছেনা অবৈধ পাথর সর্বরাহের কাজ। নিয়মিতই চলছে সকল কার্যক্রম কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার । সাধারণ মানুষের প্রশ্ন তাহলে কি হাইকোর্টের নির্দেশ পালনে কারোর কিছুই করার নেই?