নালুয়া চা বাগানে শ্রমিক আন্দোলন গোয়েন্দা নজরে নেপথ্যের নেতারা
টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৩৩:০৫,অপরাহ্ন ০৭ জুন ২০২১ | সংবাদটি ৪১২ বার পঠিত
চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ সম্প্রতি নালুয়া চা বাগানে শ্রমিকরা আন্দোলন হয়েছে।সব সসময় তারা বেতন-ভাতার বৃদ্ধির দাবী তুলে আন্দোলন করেন কিন্তু এবার তাদের দাবী ছিল ভিন্ন। তারা একজন চৌকিদারের কান কথা শুনে,একটি ইস্যু তৈরী করে আন্দোলন ও কর্ম বিরতি করেন।তাদের আন্দোলনে যোগদেন ভ্যালী ও কেন্দ্রীয় চা শ্রমিক নেতারা।সব শেষ উপজেলা চেয়ারম্যান,উপজেলা নির্বাহী অফিসার,অফিসার ইনচার্জ,স্থানীয় বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাবেক চেয়ারম্যান সমঝোতা বৈঠক করেন বার কয়েক।
এদিকে আন্দোলন ও কর্মবিরতি নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা গুলো গোপনে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকেন।তারা সাধারণ শ্রমিকদের কথা শুনেন এবং প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করার লক্ষ্যে কয়েকদিন যাবৎ চা বাগানের প্রতিটি গলিতে ঘুরতে থাকেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসআই) এর একজন কর্মকর্তা বলেন,মুল বিষয়টি গাছ পাচার নিয়ে সৃষ্টি নয়।চা বাগানের নুরুজিৎ তাতী,স্বপন তাতী,অনিল মুন্ডা,দ্বিপক তাতী,ও দুইজন মেম্বার ম্যানেজারের নিকট গাছ দাবি করেন।শুধু তাই নয়,তারা ফিল্মি স্টাইলে দিন-দুপুরে ১০/১৫ জন শ্রমিক নিয়ে বাগানের আকাশি গাছ কেটে নিয়ে যান।যা পৃথিবীর কোন চা বাগানে এ রকম নজির নেই। নুরুজিৎ এর ভাইকে চাকুরি দেয়ার জন্য প্রতিনিয়ত ম্যানেজার কে চাপ সৃষ্টি করে সে।অরুন বাবু বাসা নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি করে,সে স্থানীয় মেম্বার নটবর এর ভাই হওয়ায় ক্ষমতা প্রদর্শন করতে চায়।ম্যানেজার যোগদানের পর থেকে গাছ চুরি ও চা পাতা চুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মুলত এ সমস্ত অন্যায় আব্দার গুলো নিয়ে তাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করতে থাকে।
(২৮ মে) শুক্রবার ডানকান ব্রাদার্স এর কোম্পানী বাংলোর দরজা জানালা মেরামতের জন্য কয়েক টুকরো চামল গাছের ফালি মেইলে নিয়ে যায় সিকিউরোটি সুপারভাইজার মনির।এ সময় একজন চৌকিদার নুরুজিৎ, স্বপন ও মেম্বারদের কাছে বিষয়টি বললে তারা একত্রিত হয়ে পুরোনো ঝাজ মেঠাতে আন্দোলন ও কর্ম বিরতি করেন।নেপথ্যে থেকে সাধারণ শ্রমিকদের ব্যবহার করে তাদের ফায়দা হাসিলই ছিল মুল লক্ষ্য।
নালুয়া চা বাগানের বড় বাবু মোঃ সামসুদ্দোহা বলেন,আমাদের ম্যানেজার স্যার ম্যানেজমেন্ট কে জানিয়ে কাঠ গুলো সাইজ করতে মেইলে পাঠিয়েছেন কিন্তু কয়েকজনের নেতা অন্যায় আব্দারে সুবিধা না পেয়ে গোলা পানিতে মাছ স্বীকার করতে চাইছে।ডুলনা বাগানের বাবু ফারুক আহমেদ বলেন,যে ম্যানেজার স্যার ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, রোজা রাখে,কোম্পানীর কোটি টাকার লোভ লালসার উর্দ্ধে চলে, উনার মত ভাল মানুষ কে মিথ্যা অপবাদ দেয়া ঠিক হয়নি।তারা সকলকে ভুল বুঝাবুঝি থেকে বেড়িয়ে আসার আহবান জানান।
এদিকে নালুয়া চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটি’র সভাপতি ভুপেন মুন্ডা ও সেক্রেটারী সমাকান্ত বলেন,শ্রমিকদের কে তারা আন্দোলনের কথা বলেনি।তারা ম্যানেজার কে বিষয়টি জিজ্ঞেস করতে গিয়েছিল।কিন্তু তৃতীয় পক্ষ এসে বিষয়টি ঘোলাটে করেছে।তারা সম সময় বাগানে শান্তি কামনা করেন।
পুলিশ প্রশাসন বলছে, অযথা তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে চা বাগানের সাধারণ শ্রমিকদের মাঝে বিভ্রান্ত ছড়িয়ে ফায়দা লুঠতে দেয়া হবেনা।আইন-শৃংখলা নিয়ন্ত্রন রাখতে নেপথ্যে বা পর্দার আড়ারে থাকা নেতাদের নজরদারীতে রেখেছেন তারা।
এদিকে স্থানীয় মেম্বার নটবর রোদ্রপাল ও মাখন গোস্বামী আন্দোলনে তাদের কোন ইন্ধন নেই বলে দাবী করেন।