বিশ্বনাথের মনফর আলী ও ছমিরুন নেছা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৫৭:১০,অপরাহ্ন ০২ জুলাই ২০২২ | সংবাদটি ২৪৩ বার পঠিত
বিশ্বনাথ সংবাদদাতা ঃ-
বিশ্বনাথের টেংরার মনফর আলী ও ছমিরুন নেছা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের উদ্যোগে বন্যা ও অসহায় ৫৫ জন
মানুষের মধ্যে দশ কেজী চাউল ও নিত্য প্রয়োজনীয় ৭টি পণ্য মোট ১৮ কেজী, প্রতি প্যাকেজ ১২০০শত টাকার মূল্যের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে ২রা জুলাই শনিবার দুপুরে দক্ষিণ সুরমা তেতলী ইউনিয়নের পশ্চিম ভালকী গ্রামে।
এ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠান মুরব্বী তেরা মিয়ার সভাপতিত্বে এবং এস এন বি ফেইসবুক চ্যানালের পরিচালক একে এম তুহেম ও উক্ত ট্রাস্টের বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি যুবনেতা শাহাদাৎ হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, দক্ষিণ সুরমা তেতলী ইউনিয়ন পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ওলিউর রহমান,
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, বিশ্বনাথ সাংবাদিক ক্লাবের আহবায়ক
মোঃ শাহিন উদ্দিন,
আরোও বক্তব্য রাখেন, দক্ষিণ সুরমা লালাবাজার, বাজার কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক যুবনেতা আব্দুল গাফফার,
এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বী তবারক আলী,
লালাবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য এম এস এ আবসান খাঁন,
তেতলী ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির সভাপতি ডাঃ গিয়াস উদ্দিন,
দক্ষিণ সুরমা শ্রমিক কল্যাণ সমিতির
সভাপতি ইঞ্চিনিয়ার সুরমান আলী,
তেতলী ৮ নং ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত মেম্বার হারুন মিয়া, টেংরা গ্রামের সমাজসেবক যুবনেতা আজাদ মিয়া।
এতে অন্যানোর মধ্যে উপস্হিত ছিলেন, লালাবাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ি নুরুল
ইসলাম,
মনফর আলী ও ছমিরুন নেছা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের একান্ত সহকারি রফিক মিয়া, টেংরা ক্রিকেট ক্লাবের সাবেক অধিনায়ক মুর্শেদুর রহমান।
এতে দোয়া পরিচালনা করেন, ভালকী হাফিজিয়া নুরানীয়া মাদরাসার পরিচালক কারী আব্দুল কাদির।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আজকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ হচ্ছে বিশ্বনাথের টেংরা গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী মরহুম মনফর আলী ও ছমিরুন নেছার গর্বিত সন্তান ইলাস মিয়ার পরিবারের উদ্যোগে।
বক্তারা বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ইলাস মিয়ার বাড়ী বিশ্বনাথের অলংকারি ইউনিয়নের টেংরা গ্রামে।
তিনি তার নিজ গ্রাম টেংরাতে সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডে সহযোগিতা করেন সার্বিক সার্বিক ভাবে।
টেংরা পঞ্চাতেও রয়েছেন তিনি,
তাহলে স্বাভাবিক একটি প্রশ্ন আসতে
পারে, তিনি নিজের গ্রাম টেংরা রেখে কেন প্রতি বৎসর, সকল দুর্ভোগে ও
বিভিন্ন সময়ে এ পশ্চিম ভালকী গ্রামে তিনি দান করেন?
বক্তারা বলেন, এর উত্তর হচ্ছে ইলাস মিয়ার পিতা মরহুম মনফর আলী এই পশ্চিম ভালকী গ্রামে তার ছেলেদের জন্য তিনটি বসত বাড়ী ক্রয় করেন আজ থেকে প্রায় চল্লিশ বৎসর পূর্বে।
বর্তমানে এই গ্রামে ইলাস মিয়া ও তার দুই ভাইয়ের তিনটি বাড়ী রয়েছে। একটি বাড়ী ইলাস মিয়ার অধিনে রয়েছে। ইলাস মিয়া মনে করেন যেহেতু এখানে তার একটি বাড়ী রয়েছে সেহেতু এই গ্রাম হচ্ছে তার প্রতিবেশী।
প্রতিবেশী হিসাবে এ গ্রামের গরীব ও অসহায় মানুষের তার উপর হক রয়েছে এবং এ গ্রামে আরোও বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে এ মানুসিকতা নিয়েই তিনি দান করে থাকেন বলে যুক্তরাজ্য থেকে ইলাস আলী জানিয়েছেন বক্তাদের কাছে।
জানাগেছে প্রতিবেশীর হক আদায় করার জন্য তিনি দীর্ঘ দিন থেকে এভাবে এখানে বিভিন্ন সময় দান করে আসছেন।
বক্তারা বলেন, এতে প্রমাণীত হয় ইলাস আলীর মন মানুসিকতা কত যে উদার। ইলাস আলীর এমন উদার মানুসিকতার জন্য তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন বক্তারা।