লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে প্রায় দেড়শ প্রাণহানির আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:০০:৪৫,অপরাহ্ন ২৬ জুলাই ২০১৯ | সংবাদটি ৪০৫ বার পঠিত
লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে প্রায় দেড়শ প্রাণহানির আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ। ইতোমধ্যে ওই নৌকা থেকে ১৫০ জনকে উদ্ধার করা হলেও আরও ১৫০ জন নিখোঁজ রয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছে, চলতি বছর ভূমধ্যসাগরে এটাই সবচেয়ে মারাত্মক ও হৃদয়বিদারক নৌকাডুবির ঘটনা।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মতে, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার পথে ২০১৭ সালে প্রায় তিন হাজার অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। একে শরণার্থীদের জন্য সবচেয়ে বিপদজনক পথ মনে করা হয়। ২০০০ সালের পর থেকে থেকে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার অভিবাসী এই পথে ডুবে মারা গেছে কিংবা নিখোঁজ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার, লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে ১২০ কিলোমিটার পূর্বের আল খোমস বন্দর থেকে অভিবাসীদের নিয়ে ভূমধ্যসাগরে নৌযানটি যাত্রা শুরু করে। পরে নৌযানটি ৩ শতাধিক অভিবাসী নিয়ে ভূমধ্যসাগরে ডুবে যায়। এ সময় কোস্টাগার্ড ১৫০ জনকে উদ্ধার করে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনারের মুখপাত্র বলেন, ১৫০ জনকে উদ্ধার করে লিবিয়ায় ফেরত পাঠানো হয়েছে। হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রান্দি বলেন, ভূমধ্যসাগরে এটাই চলতি বছরের সবচেয়ে হৃদয় বিদারক ঘটনা। লিবিয়ার অভিবাসীদের জন্য নিরাপদ পথ তেরি করা জরুরি। নাহলে এমন প্রাণ ঝড়তেই থাকবে।
তবে লিবিয়ার নৌবাহিনীর মুখপাত্র বলছেন, অন্তত ১১৬ জন নিখোঁজ হয়েছে। আর উদ্ধার পেয়েছে ১৩২ জন। প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, কাঠের নৌকাটিতে দুই শতাধিক শরণার্থী ছিল।
এ বছরের প্রথম চারমাসে ভূমধ্যসাগরের একই রুটে প্রায় ১৬৪ জন শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গত মে মাসে তিউনিসিয়া উপকূলে শরণার্থী নৌকা উল্টে অন্তত ৬৫ জন নিহত হয়। লিবিয়া থেকে শরণার্থীরা ইউরোপে পাড়ি দিতে গিয়ে প্রতিবছরই এমন দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা যাচ্ছে।