শিশুর ত্বক পরিষ্কার ও শুষ্ক রাখাই সুস্থতার মূলমন্ত্র।
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৪০:৩৫,অপরাহ্ন ২৭ জুলাই ২০১৯ | সংবাদটি ৪৩৭ বার পঠিত
শিশুর সংবেদনশীল ত্বকে চাই পর্যাপ্ত যত্ন ও সঠিক পুষ্টি উপাদান, বিশেষ করে ঋতু পরিবর্তনের সময়। শিশুর ত্বকের যত্ন নেওয়ার পদ্ধতিতে ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন আসা উচিত। আর সেই সঙ্গে বেছে নিতে হবে সেই ঋতুর সঙ্গে মানানই প্রসাধনী, যার উপকরণ হওয়া চাই যথাসম্ভব প্রাকৃতিক উৎস থেকে।
ভারতীয় প্রসাধনী পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘দ্য হিমালেয়া ড্রাগ কোম্পানি’র আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ডা. সুভাশিনি এন.এস. বলেন, “স্যাঁতস্যাঁতে ও আর্দ্র আবহাওয়ায় ঘাম বেশি হয়, যার ফলাফল হতে পারে ত্বকে র্যাশ কিংবা সংক্রমণ। আর এজন্যই এমন ঋতুতে শিশুর সংবেদনশীল ত্বকের চাই বাড়তি যত্ন।
“নিশ্চিত করতে হবে ত্বক যাতে শুষ্ক না হয়। এই কাজটি করার জন্য কার্যকর উপায় হল মৃদু প্রসাধনীর ব্যবহার যাতে আছে প্রাকৃতিক উপাদান এবং নেই কোনো ‘থ্যালেট’, ‘প্যারাবেন’, ‘অ্যালকোহল’, কৃত্রিম রং, খনিজ তেল ও প্রাণিজ উৎসের উপাদান।”
শিশুর ত্বকের যত্ন নেওয়ার ব্যাপারে পরামর্শও দিয়েছেন ডা. সুভাশিনি।
– শিশুকে গোসল করাতে হবে মৃদু সাবান দিয়ে যাতে থাকা উচিত এমন ভেষজ উপাদান যা শিশুর ত্বক নরম ও আর্দ্র রাখবে। জলপাইয়ের তেল কাঠবাদামের তেল সমৃদ্ধ সাবান শিশুর ত্বকের সুরক্ষা দিতে ও কোমল রাখতে কার্যকর। জলপাইয়ের তেল পুষ্টি যোগায় আর কাঠবাদামের তেল আর্দ্রতা রক্ষা করে।
– তরল সাবান ব্যবহার করতে চাইলে সেখানেও বেছে নিতে হবে মৃদু মাত্রার, যা শিশুর ত্বক নরম ও লাবন্যময় রাখবে। ‘গ্রিন গ্রাম’ আর ‘চিক পি’ সমৃদ্ধ সাবান এক্ষেত্রে আদর্শ। দুটো উপাদানই ত্বক নরম করে।
– শিশুর চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখার জন্য প্রতি সপ্তাহে দুবার চুল পরিষ্কার করতে হবে। এতে শিশুর মাথার ত্বক ও চুল দুটোই ভালো থাকবে। ‘হিবিসকাস’ এবং ‘চিক পি’ সমৃদ্ধ শ্যাম্পু শিশুর চুলের জন্য ভালো হবে। ‘হিবিসকাস’ চুল ‘কন্ডিশনিং’ করে আর ‘চিক পি’ চুলে পুষ্টি যোগায়।
– ত্বকের যত্নে ‘ক্যালামাইন’ ও প্রাকৃতিক উপাদান যেমন অ্যালো ভেরা, বাদাম, ‘গ্রাস অয়েল’, ‘মাস্টার্ড অয়েল’ ইত্যাদি সমৃদ্ধ লোশন বেছে নিতে পারেন। ত্বকের র্যাশ কিংবা মৃদু জ্বলুনি সারাতে এটি উপাকারী।
– গোসলের পর ‘ডায়পার র্যাশ ক্রিম’ ব্যবহার করতে পারেন। বেছে নিতে হবে কাঠবাদামের তেল আছে এমন ক্রিম যা ডায়পার পরে থাকার কারণে হওয়া ত্বকের অস্বস্তি দূর করবে এবং ‘ময়েশ্চারাইজ’ করবে।
শিশুর ত্বক যতটা সম্ভব পরিষ্কার আর শুকনো রাখাই ত্বকের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া আদর্শ উপায়। পাশাপাশি মনে রাখতে হবে নির্দিষ্ট সময় পরপর ডায়পার পাল্টে দিতে হবে, যাতে র্যাশ না হয়।