জুড়ী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত ১ আহত ৩
টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৩৪:৪৩,অপরাহ্ন ০৩ জুন ২০২০ | সংবাদটি ৩৯৮ বার পঠিত
এম.এম আতিকুর রহমান,বড়লেখা-জুড়ী প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলা সীমান্তে ভারতের করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি থানার পুঁথনি চা বাগানের চম্পাবাড়ী এলাকায় ভারতে অনুপ্রবেশ ও গরুচোর সন্দেহে এক বাংলাদেশীকে পিটিয়ে হত্যা ও অপর এক বাংলাদেশীসহ তিনজনকে পিটিয়ে আহত করার খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিজিবি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৫২ ব্যাটালিয়ন বিয়ানীবাজার-এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. শহীদুল্লাহ বুধবার বিকেলে সাংবাদিকদের বলেন, বিএসএফ বিষয়টি আমাদের জানিয়েছে। তবে ভূল তথ্যের কারণে নিহত ও আহতের পরিচয় বের করা যায়নি। বর্তমানে পরিচয়ের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লাশ দেশে আনা হবে।
নিহতের নাম রনজিৎ রিকমন (৩০) সে জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের ধামাই চা বাগানের শ্রমিক এবং বাজারটিলা এলাকার রশিক লাল রিকমুনের পুত্র। আহত মলেন মুন্ডা (৩২) একই উপজেলার শিলুয়া চা বাগানের ফাঁড়ি কুচাই চা বাগানের মৃত গাজু মুন্ডার পুত্র। অপর দুইজন ভারতীয় নাগরিক বলে জানাগেছে।
ভারতের করিমগঞ্জ হাসপাতালে নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত হয় এবং আহতরা একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৫২ ব্যাটালিয়ন লাঠিটিলা সীমান্ত ফাঁড়ির কোম্পানী কমান্ডার ল্যান্স নায়েক জাকির হোসেন জানান, সোমবার সন্ধ্যায় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ আমাদের একটি চিঠি দিয়ে জানায় বাংলাদেশের দুইজন লোক ভারতে অনুপ্রবেশ করে গরু চুরিকালে স্থানীয় জনতা তাদের গণপিঠুনি দেয়। এতে এক জন বাংলাদেশী নিহত ও অপরজন আহত হয়। বিএসএফ নিহতের লাশ আনতে বলে। আমরা তাদের পরিচয় জানতে চাইলে বিএসএফ আমাদের দু’টি ঠিকানা দেয়। আমরা দুই্ দিন তন্ন তন্ন করে খোঁজে ঠিকানার কোন অস্থিত্ব পাওয়া যায়নি। তাদের দেয়া নাম, ঠিকানা সঠিক ছিল না।
এদিকে বুধবার জুড়ীর স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের অনুসন্ধানে ভারতীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতায় তাদের ছবি ও পরিচয় পাওয়া যায়। নিহত রনজিৎ পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শ্রীকান্ত দাস নিশ্চিত করেন।
এছাড়া আহত মলেন মুন্ডার পরিচয় নিশ্চিত করে কুচাই এলাকাবাসী জানান, সে উপজেলার পূূর্বজুড়ী ইউনিয়নের জামকান্দি এলাকায় বিয়ে করে সেখানে শ্বশুর বাড়ীতে বসবাস করতো। এ নিয়ে এলাকায় উদ্বেগ উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।