আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলামের সহযোগিতায় ১০০টি পরিবারে ফুডপ্যাক বিতরণ
টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:২১:০৩,অপরাহ্ন ০৪ আগস্ট ২০২১ | সংবাদটি ৫৬১ বার পঠিতকরোনার ভয়াবহ থাবায় জর্জড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন উলামায়ে কেরাম। ইনসানিয়াতের শিক্ষায় উজ্জীবিত নিবেদিতপ্রাণ একদল মানুষ অক্সিজেন নিয়ে দৌঁড়ে যাচ্ছেন মৃত্যুপথযাত্রীর পাশে।
কেউ ঔষধ নিয়ে, কেউ করোনার নিষ্ঠুর আক্রমনে পরাজিত লাশের কাফন দাফনের জন্য ছুটে যাচ্ছেন প্রাণ বাজি রেখে। ঘর থেকে ঘরে, বাড়ি থেকে বাড়ি, গ্রাম থেকে গ্রাম, এক শহর থেকে অন্য শহর , কেউ দু’মুঠো খাবার নিয়ে ঘরবন্ধী মানুষের অনাহারে হাহাকারে ভরা জীবনের পাশে দাঁড়াচ্ছেন নিরলস নিরন্তর যোদ্ধার মত।
তারই ধারাবাহিকতায় ঐতিহ্যবাহী সংগঠন আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলামের সার্বিক সহযোগিতায় এবং “করোনা রোগী সেবা পরিষদ শ্রীমঙ্গল” এর বাস্তবায়নে করোনায় ঘরবন্দী ক্ষুধার্ত মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছে ফুডপ্যাক।
৪ আগস্ট ২০২১ করোনা রোগী সেবা পরিষদের ফুডপ্যাক বিতরণী কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব নজরুল ইসলাম।
ঝুঁকিপূর্ণ সময় তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে অল্প সংখ্যক দায়িত্বশীলদের নিয়ে উদ্বোধন করেন।
করোনা রোগী সেবা পরিষদ শ্রীমঙ্গল উপজেলা সভাপতি মাওলানা মুহাস্মদ আবদুশ শাকুরের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সোহাইল আহমদের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলামে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা আব্দুস সবুর, করোনা রোগী সেবা পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ- সভাপতি, রাজনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ বিলাল, করোনা রোগী সেবা পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব হাফিজ মাওলানা সা’দ আহমদ আমীন বর্ণভী, করোনা রোগী সেবা পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শাব্বীর আহমদ ফতেহপুরী, আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সৈয়দ মুজাদ্দিদ আলী, আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সভাপতি শায়খ মাওলানা ফজলুর রহমান মৌলভীচকী, করোনা রোগী সেবা পরিষদ শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সেক্রেটারি মাওলানা আবদুল মালিক, ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশন শ্রীমঙ্গলের সভাপতি মাওলানা এমএ রহীম নোমানী।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাফিজ মাওলানা মামুনুর রশীদ, হাফিজ মাওলানা শাহাদাত হোসাইন খান, মাওলানা আজীজুল ইসলাম ইমরান, আজীজুর রহমান ফটিক, মোঃ আশরাফ আলী, মুহাম্মদ মাসুদ রানা প্রমুখ।
পরবর্তীতে প্রায় ১০০ টি ফুডপ্যাক করোনাকালীন এই দারিদ্রতার চরম ক্রান্তিলগ্নে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া হয়।