গন্ধ শুঁকে করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে কুকুরকে প্রশিক্ষণ
টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৩৫:৪৯,অপরাহ্ন ০৫ জুলাই ২০২০ | সংবাদটি ৫০৬ বার পঠিত
ইংল্যান্ডের মিলটন কিন্স শহরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গন্ধ শুঁকে করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ছয়টি কুকুরকে বিবিসি
ইংল্যান্ডের মিলটন কিন্স শহরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মোট ৬টি কুকুরকে এ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে
ইংল্যান্ডের মিলটন কিন্স শহরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গন্ধ শুঁকে করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে ছয়টি কুকুরকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। সংস্থাটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ড. ক্লেয়ার গেস্টের মতে, কুকুরগুলো গন্ধ শুঁকে ভাইরাস শনাক্ত করতে পারবে। এ বিষয়ে তার পরীক্ষা “সফলভাবে এগোচ্ছে” বলেও দাবি করেছে সংস্থাটি, এমনটিই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদনটিতে সংস্থাটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী ড. ক্লেয়ার গেস্টের বরাত ব্যবহার করে বলা হয়েছে, গন্ধ শুঁকে কুকুরগুলোর ভাইরাস ধরতে পারার ক্ষমতা আছে, এমন ইঙ্গিত তারা আগেই পেয়েছিলেন। এর আগে ম্যালেরিয়া, ক্যান্সার এবং পারকিনসন রোগ ধরার কাজে কুকুরকে গন্ধ শুঁকে প্রশিক্ষণ দেন তারা, এমনটিও প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে।
প্রশিক্ষণ প্রসঙ্গে ড. গেস্ট বলেন, অ্যাশার নামে তার একটি কুকুর প্রশিক্ষণে “মাত্রাতিরিক্ত ” ভাল ফল দেখাচ্ছে। এই ককার স্প্যানিয়েল প্রজাতির কুকুরটি খুবই দক্ষ এবং চালাক।
তিনি বলেন, “ইতোমধ্যেই কুকুরটি শিখে গেছে কীভাবে ম্যালেরিয়া এবং পারকিনসনস রোগ শনাক্ত করতে হয়। কাজেই আমরা জানি এ কাজে অ্যাশার খুবই দক্ষতার পরিচয় দেবে। প্রশিক্ষণের সময় অ্যাশার নির্ভুলভাবে ঘ্রাণ চিহ্ণিত করতে পারছিল”।
প্রাথমিক প্রশিক্ষণের আট সপ্তাহ পর এই কাজে সফল কুকুরগুলোকে নিয়ে শুরু হবে দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষা। তখন তাদের একেবারে লাইভ পরিস্থিতিতে ভাইরাস শনাক্ত করার কাজ করতে দেয়া হবে। অর্থাৎ পরীক্ষার পরিবেশে নয়, একেবারে মানুষের মধ্যে তাদের ছেড়ে দিয়ে ভাইরাস শনাক্ত করার কাজ দেয়া হবে।
ড. গেস্ট ও অন্যান্য প্রশিক্ষকরা আশা করছেন, এই প্রকল্প সফল হলে তা আরও বিস্তৃত করা হবে এবং শনাক্তকারী কুকুরগুলো প্রতি ঘন্টায় ২৫০ ব্যক্তির ঘ্রাণ নিয়ে ভাইরাস শনাক্ত করার কাজ করবে। তাদের সম্ভবত বিমানবন্দরে কাজে লাগানো হবে বলে মনে করা হচ্ছে। টেস্টিং কেন্দ্রগুলোতেও তারা কাজ করতে পারবে।
এই ট্রায়াল বা পরীক্ষার জন্য ব্রিটিশ সরকার ৫ লাখ পাউন্ড অর্থ ব্যয় করেছে এবং লন্ডনের স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসেন এবং ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই প্রকল্পে কাজ করছেন।