বিজ্ঞান যত উন্নত ইসলাম তত সমৃদ্ধ !!

টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:০০:২৬,অপরাহ্ন ০৩ মার্চ ২০২১ | সংবাদটি ৪২৮ বার পঠিতসিদ্দিকুর রহমান সুমন,সাংবাদিক ও ব্যাংকার
মঙ্গল গ্রহ থেকে নাসা পাঠানো রোবট অনেক ছবি পাঠিয়েছে । তারমধ্যে মরা নদীর ছবি বেশ আলোচিত হচ্ছে । সেখান থেকে পৃথিবী নামক গ্রহকে একটি . (ডট-বিন্দু) হিসেবে দেখা গেছে । চিন্তা করুন, এত বড় পৃথিবীতে বসবাস করেও মঙ্গল গ্রহে গিয়ে তা বিন্দুর মতোই দেখাচ্ছে ।
মায়ের গর্ভে থাকা সন্তানকে যদি বলা হয় তুমি এর চেয়ে কয়েক কোটি গুন বড় একটা একটা পৃথিবীতে যাবে, তখন নিশ্চয় সে অবাক হবে, তাই না ? কিন্তু এটাই বাস্তব হয় দশ মাস দশ দিন পর । সে নতুন এক জায়গায় আগমন করে, যা তার মায়ের গর্ভে থাকা পরিধি থেকে কোটি কোটি গুন বড় । ১৪০০ বছর আগে ইসলাম মহাশূন্যে সৌর বস্তুর জ্ঞান এবং অস্তিত্বের জ্ঞান সম্পর্কে বললে অনেকে তা উপহাস করতো। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে, বিজ্ঞান তত উন্নত হচ্ছে, ইসলাম হচ্ছে সমৃদ্ধ ।
সুসংগঠিত সৌরজগতের বাইরের স্থানকে প্রথমে শুণ্য মনে করা হত।জ্যোতির্বিদরা পরবর্তীতে মহাশুন্যে বস্তুর সেতু আবিষ্কার করেন।
কোরআন মহাশুন্যের ঐ বস্তুর অস্তিত্ব সম্পর্কে কথা বলেছে।
আল্লাহ বলেনঃ “তিনি সে সত্তা যিনি আসমান ও যমীন এবং এ দুয়ের মাঝে অবস্থিত সকল সৃষ্টি করেছেন। সূরা ফোরকান-৫৯
পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন-
“তোমরা কি লক্ষ্য করনা যে,আল্লাহ কিভাবে সাত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন,সেখানে চাঁদকে রেখেছেন স্নিন্ধ আলোরূপে এবং সূর্যকে রেখেছেন প্রদীপরূপে ?”- সুরা নূহ-১৫-১৬।
“প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণ করে।” সূরা ইয়াসিন -৪০।
এসব আয়াতে এমন সব বৈজ্ঞানিক সত্য রয়েছে, যা মাত্র সম্প্রতি আধুনিক জ্যোতিষ শাস্ত্র আবিষ্কার করেছে।
মানুষ কর্তৃক সৌরজগতের বিভিন্ন তথ্য আবিষ্কারের পূর্বেই কোরআন মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের কথা জানিয়েছে। প্রতিটি ছায়াপথ অন্য ছায়াপথ থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলে। মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত এক বিস্ময় । মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ এখন বৈজ্ঞানিক সত্য। যা কোরআন অনেক আগেই বলেছে, মহান আল্লাহ বলেনঃ
“আমি নিজ ক্ষমতা বলে আকাশ নির্মাণ করেছি এবং আমি অবশ্যই এর সম্প্রসারণকারী।”সূরা যারিয়াত-৪৭
আল্লাহ আরো বলেনঃ
“নিশ্চয়ই আসমান ও যমীনের সৃষ্টি এবং দিন ও রাতের পরিবর্তনের মধ্যে জ্ঞানীদের জন্য রয়েছে নিদর্শন। সূরা আলে ইমরান -১৯০
মূলতঃকোরআনের আয়াতসমূহের বৈজ্ঞানিক যথার্থতা দিন দিন প্রমানিত হচ্ছে ।
এরূপ বস্তুনিষ্ঠ ও সত্য বৈজ্ঞানিক বিষয়াদি সম্বলিত কোন বই আজ পর্যন্ত আবিস্কার হয়নি এবং কেয়ামত পর্যন্ত কারো পক্ষে সম্ভব হবে না । কোরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান-এবিষয়ের উপর আরো অনেক গবেষণা চলছে। ইনশাআল্লাহ,এই গবেষণা একদিন মানব জাতিকে আল্লাহর বাণী এবং ইসলাম ধর্মের নিকটবর্তী করবে ।।