অপরাধ নিয়ন্ত্রনে পুলিশকে সহযোগিতা করুন….পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান
জগন্নাথপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত হয়েছে : ১:০৯:৪৯,অপরাহ্ন ১৭ মার্চ ২০২১ | সংবাদটি ৩৬৭ বার পঠিত
সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মিজানুর (বিপিএম) বলেছেন, সাধারণ মানুষকে নির্যাতন করায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। শুধু সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাঁকে অনেক কষ্ট পেতে হয়েছে। তিনি সততার প্রশ্নে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, সুনামগঞ্জ জেলার কোন থানায় পুলিশের সেবা পেতে টাকা লাগে না। পুলিশ কোন বে-আইনী আচরণ করবে না। তবে জনগণকেও আইন মেনে চলতে হবে। তিনি আরো বলেন, আসামী ধরতে গিয়ে হামলায় এক পুলিশ সদস্য মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। সেই আসামী সহ হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তি প্রদানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। হামালাকারীদের অবশ্যই থানা অথবা আদালতে আত্ম-সমর্পণ করতে হবে। তবে নিরপরাধ কোন ব্যক্তিকে হয়রানী করা হবে না।
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের ঐয়ারকোনা শান্তির বাজারে আয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন এবং অপরাধ প্রতিরোধে বিশেষ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সহকারি পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর/ছাতক সার্কেল) মোঃ বিল্লাল হোসেন। জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবদুল কাইয়ূম মশাহিদ, আশারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আবু ইমানী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ূব খান, সাংবাদিক আবদুল হাই, জগন্নাথপুর উপজেলা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো.শাহজাহান মিয়া প্রমূখ।
এ সময় সহকারি পুলিশ সুপার (প্রশিক্ষণ) পারভেজ রানা, আশারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুস সাত্তার, সাবেক সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান মুরাদ, যুগ্ম-সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য শাহ খায়রুল ইসলাম, তৌরিছ মিয়া, ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা আলাল, জাতীয় পার্টি থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহ তারেক রহমান নিপু, যুবলীগ নেতা রাসেল আহমদ, জগন্নাথপুর থানার এসআই রফিকুল ইসলাম, এসআই জিয়া, এএসআই শিবলু মজুমদার সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শতশত জনতা উপস্থিত ছিলেন। পরে পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন।
প্রসঙ্গত-গত ১৪ মার্চ ঐয়ারকনো গ্রামের ডাকাতি ও গণধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী আবদুল হাসিমকে গ্রেফতার করেন জগন্নাথপুর থানা পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে আসামীকে ছিনতাই করে নিয়ে যায় তার লোকজন। হামলায় জগন্নাথপুর থানার এসআই শহিদুল ইসলাম, এএসআই শফিকুল ইসলাম ও কনস্টেবল নিয়ামুল ইসলাম সহ ৩ পুলিশ সদস্য আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত এসআই শহিদুল ইসলাম সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এ ঘটনায় আহত এএসআই শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫৩ জনকে আসামী করে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা দায়ের করেন। এ মামলার ৪ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, ঐয়ারকোনা গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে মোকদছ আলী, জুবেদ আলীর ছেলে বিলাল মিয়া, আবদুল মালিকের ছেলে মহিবুর রহমান ও মাসুক মিয়ার ছেলে শাহিনুর রহমান।
এদিকে-পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে ছিনিয়ে নেয়া আসামী ও হামলাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ভয়ে প্রায় পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে ঐয়ারকোনা গ্রাম। শান্তির বাজারের সকল দোকানপাট রয়েছে বন্ধ। তবে এখন পর্যন্ত কোন নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানী করেনি পুলিশ। এমন অভিমত স্থানীয়দের।