সেনা প্রত্যাহার শুরুর পর থেকেই নিয়ন্ত্রণ নিতে আফগানিস্তানে যুদ্ধ পরিস্থিতি
টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:৫৫:০৪,অপরাহ্ন ০৮ জুলাই ২০২১ | সংবাদটি ৩২৫ বার পঠিতআফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরুর সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি বাড়ছে। দেশটিতে নিজেদের প্রভাব বৃদ্ধি করছে তালেবান। এছাড়া বিদেশি সেনা প্রত্যাহার পরবর্তী দ্বন্দ্বের জন্য নিজেদের অবস্থান নিচ্ছে বিভিন্ন গ্রুপ।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগান সরকার ও স্থানীয় মিলিশিয়া গ্রুপগুলোর মধ্যে ক্ষমতা দখল নিয়ে অচলাবস্থা রয়েছে। সেনা প্রত্যাহার শুরুর পর থেকেই দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যুদ্ধ পরিস্থিতি ভয়াবহ হচ্ছে।
চূড়ান্তভাবে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আগেই আফগান সেনারা ব্যাপক চাপের মুখে পড়েছে। আফগান সেনারা জিহাদি গ্রুপ তালেবানের ব্যাপক হামলার মুখে পড়েছে। তালেবান দেশটির গ্রামীণ বেশকিছু এলাকা নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে যদিও দেশটির নিরাপত্তাবাহিনী আফগান শহরগুলোতে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছে। আফগান তালেবানরা দেশটির কয়েকটি জেলায় তাদের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
দীর্ঘসময় শাসন ধরে রাখতে আগামী গ্রীষ্ম পর্যন্ত আফগান সেনাবাহিনীর টিকে থাকা গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন সেনা প্রত্যাহার মানে আফগান সেনারা বিদ্রোহ দমনে বিমান সহায়তা পাবে না।
কাবুলভিত্তিক ইনস্টিটিউট অব ওয়ার এন্ড পিস স্টাডিজ’র নির্বাহী চেয়ারম্যান তামিম আসি বলেন, ‘মূলত, এই বছর যুদ্ধ হবে জেলা এবং রাজপথগুলোর বিরুদ্ধে।’ তালেবান যেভাবে শক্তিশালী হচ্ছে মার্কিন বাহিনীর অভিযানের দুই দশক আগেও এরকম হয়নি।
তালেবানরা সফলভাবে আফগানিস্তানেরা ৪০০ টি জেলার মধ্যে ১০০টিতে তাদের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
তালেবানের এই পদক্ষেপে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কাতারের দোহায় স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনছে। রাজনৈতিক সমাধান না করে জিহাদী গ্রুপগুলো ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে।
সিএনএ’র কাউন্টারিং থ্রেটস এন্ড চ্যালেঞ্জেস প্রোগ্রাম’র পরিচালক জোনাথন শ্রডেন বলেন, ‘কৌশলগতভাবে তালেবান পরীক্ষা করে দেখবে মার্কিন বাহিনীর সহায়তাবিহীন আফগান বাহিনীকে। তালেবান দেখার চেষ্টা করবে তারা কতদূর যেতে পারে।’
আল অ্যারাবিয়্যার প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলেছে- যেহেতু তালেবানরা দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি জেলা নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের কয়েক মাসের মধ্যেই আফগান বেসামরিক সরকার সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর হাতে পড়তে পারে।
আফগানিস্তানে মার্কিন জেনারেল অস্টিন মিলার সতর্ক করে জানিয়েছেন, ‘পরিস্থিতি খারাপ হলে গৃহযুদ্ধ শুরু হতে পারে।’ এদিকে সংঘর্ষ তীব্র হতে থাকায় আরও কয়েক শতাধিক বেসামরিক প্রদেশে সরকারি বাহিনীর সমর্থনে তালেবানদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিয়েছে।
সূত্র : ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর ডটকম, এএফপি