লেবাননের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য জরুরী সতর্ককরণীয়
হেলাল আহমদ লেবানন থেকেঃ
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৫১:৪৩,অপরাহ্ন ১৩ জুলাই ২০১৯ | সংবাদটি ৬০১ বার পঠিত
গত ১২ জুলাই লেবাননের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য জরুরী সতর্ককরণীয় বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন যে,গত ১১ জুলাই ২০১৯ রাত প্রায় ১০ ঘটিকায় কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশী অভিযোগ করেন যে, লেবাননের রাজধানী বৈরুতের জ্বালা জলদ্বীপ এলাকায় বাংলাদেশীদের ধরপাকড় করা হচ্ছে। ফোন পেয়ে সাথে সাথে স্থানীয় আইন – শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করে এবং কাউকে গ্রেফতার না করার অনুরোধ জানায় দূতাবাস কর্তৃপক্ষ। যার ফলে কোন বাংলাদেশী গ্রেফতার হয়নি।
সে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১২ জুলাই সকাল সাড়ে দশটায় দূতাবাসের একটি প্রতিনিধি দল সেখানকার মেয়র ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকে তারা জানান যে,জ্বালা জলদ্বীপ এলাকার প্রবাসী বাংলাদেশীরা প্রায়ই মদ খেয়ে রাস্তায় এসে মাতলামি করে থাকেন। এতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। গতকাল রাতেও বেশ কিছু বাংলাদেশী পুরুষ ও মহিলা মদ খেয়ে মাতলামী শুরু করলে এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। তখন এলাকাবাসী ফোন করে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে অনেক চেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
মেয়র আরো জানান, এই এলাকাতে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশীরা মদ খেয়ে মাতলামী করাসহ বিভিন্ন প্রকার অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ছে। এছাড়াও তারা বাংলাদেশী নাইট ক্লাবও স্থাপন করেছে। এতে করে স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতি ঘটছে। সভায় সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে পরিস্থিতির উন্নয়নে দূতাবাসের সাহায্য কামনা করা হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রবাসীদের অবগতির জন্য দূতাবাস থেকে জানিয়েছেন যে, লেবাননের বেশ কিছু এলাকা যেমন- দাওরা, আইন আল রোমানি, বুর্জ আল বারানিয়ে, বুর্জ হাম্মুদ, লাইলাকি এবং জুনিতেও বাংলাদেশীদের জুয়ার আসর ও নাইট ক্লাব পরিচালনা, মদ খেয়ে প্রকাশ্যে মাতলামী, মাদক ব্যবসা, মারামারি ও খুনোখুনি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে লেবাননে বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট হচ্ছে এবং নিরিহ ও শান্তিকামী বাংলাদেশী প্রবাসীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
এমতাবস্থায় দূতাবাস প্রবাসী সকল বাংলাদেশীদেরকে এসব অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ককরণীয় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে । এ ধরণের অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য লেবানন সরকার তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ দূতাবাস কোন প্রকার দায়দায়িত্ব গ্রহণ করবেনা বলে জানিয়েছেন দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে।