জিপ আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেলেন মুহিত

টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৫৯:৩৪,অপরাহ্ন ২০ আগস্ট ২০১৯ | সংবাদটি ৫৭৩ বার পঠিতসংসদ সদস্য না হয়েও টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার স্টেশন ওয়াগন জিপ আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ‘বাস্তবিক অবস্থার নিরিখে’ শর্তসাপেক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) তাকে এ সুবিধা দিয়েছে। এ বিষয়ে সোমবার (১৯ আগস্ট) এনবিআরের এক বিশেষ আদেশে বলা হয়, সাবেক সংসদ সদস্য ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের আমদানি করা একটি টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার স্টেশন ওয়াগন জিপ শুল্কমুক্ত সুবিধায় ছাড় করার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সুপারিশ অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে পাঠানো হয়েছে।
বিশেষ আদেশে উল্লেখ করা হয়, পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, তিনি (মুহিত) দশম জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য ও অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও ১১তম জাতীয় সংসদে পুনর্র্নিবাচিত হননি। সে পরিপ্রেক্ষিতে শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা প্রাপ্য না হলেও বাস্তবিক অবস্থার নিরিখে এ ক্ষেত্রে উক্তরূপ (শুল্কমুক্ত) সুবিধা প্রদানের বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, দ্য কাস্টম অ্যাক্ট ১৯৬৯ এর ২০ ধারা এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ এর ১২৬(১) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আমদানি করা গাড়িটি খালাসের ক্ষেত্রে সমুদয় আমদানি শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক থেকে নিম্ন বর্ণিত শর্তসাপেক্ষে অব্যাহতি দেয়া হলো।
১. আমদানি করা গাড়ি আমদানির পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে অন্যত্র হস্তান্তর বা বিক্রি করা যাবে না। তবে শর্ত থাকে যে, গাড়ি আমদানির পর পাঁচ বছর অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে হস্তান্তর বা বিক্রয় করতে হলে হস্তান্তর বা বিক্রির পূর্বে অব্যাহতি পাওয়া সমুদয় শুল্ক কর সংশ্লিষ্ট শুল্ক ভবনের কমিশনের কাছে পরিশোধ করতে হবে।
২. গাড়ির রেজিস্ট্রেশন হস্তান্তর বা বিক্রির ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছ থেকে পূর্ব সম্মতি গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট শুল্ক ভবনে দাখিল করতে হবে।
৩. গাড়ি আমদানির তারিখের পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে আমদানিকারক মৃত্যুবরণ করলে তার উত্তরাধিকারকে কোনোরূপ শুল্ককর পরিশোধ করতে হবে না। তবে শর্ত থাকে যে, গাড়ির মূল আমদানিকারকের উত্তরাধিকারীর নামে নাম পরিবর্তন ব্যতীত অন্য কারও নামে হস্তান্তর বা বিক্রি করতে হলে অব্যাহতি পাওয়া শুল্ককর সংশ্লিষ্ট শুল্ক ভবনের কমিশনারের কাছে পরিশোধ করতে হবে।