জনপ্রিয় টকশো ‘তৃতীয় মাত্রা’ এবার সিলেটে

টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:১১:৫৪,অপরাহ্ন ২১ অক্টোবর ২০২৩ | সংবাদটি ২৪৫ বার পঠিতসিলেট নগরীর শাহী ঈদগাহ শিল্পকলা একাডেমীতে দর্শকদের উপস্থিতিতে চ্যানেল আইতে প্রচারিত জনপ্রিয় টকশো ‘তৃতীয় মাত্রা’র রেকর্ডিং অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
“অপরিকল্পিত নগরায়নই সিলেটের উন্নয়নে বড় বাধা” – টকশো তৃতীয় মাত্রা’য় বললেন স্থানীয় রাজনীতিবিদরা
শনিবার সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে দর্শকদের উপস্থিতিতে চ্যানেল আই’তে প্রতিদিন প্রচারিত টক শো ‘তৃতীয় মাত্রা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সিলেট অঞ্চলের ব্যবসায়িক অবস্থা, আঞ্চলিক অর্থনীতি, বেসরকারি খাত, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, নারী অধিকার, তরুণদের উন্নয়ন ও রাজনীতিসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে ছিলেন সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির উদ্দিন খান, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমেদ চৌধুরী, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী ও সিলেট ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির ভাইস-চেয়ারম্যান ইয়াহইয়া চৌধুরী। এছাড়াও, সিলেট জেলার এসএমই উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্তরের পেশাজীবী সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
মোঃ নাসির উদ্দিন খান বলেন, “জলাবদ্ধতা সিলেটের একটি বড় সমস্যা। এখানে একই ড্রেনের কাজ বছর ঘুরে আবার ভেঙ্গে নতুন করে করা হয়, ফলে মানুষের ভোগান্তি বাড়ে এবং জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের সাথে বহুবার আমরা আলোচনা করেছি পরিকল্পিত নগরায়নের জন্য, কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি”। এছাড়াও তিনি বলেন, “সিলেটের উন্নয়নের জন্য পরিকল্পিত নগরায়নের বিকল্প নেই, এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি দল, মত, নির্বিশেষে সকলেরই নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে”।
অ্যাডভোকেট এমরান আহমেদ চৌধুরী বলেন, “সিলেটে যা উন্নয়ন করার, তার সবই বিএনপির সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান সাহেব করে গিয়েছেন, এরপর থেকে আমরা আর এগিয়ে যেতে পারিনি, সেখানেই রয়ে গেছি”। তিনি আরও জানান, “এ জেলার রাস্তাঘাটের উন্নয়নের জন্য সিলেটের জনগণ যে পরিমাণ জায়গা ছেড়ে দিয়েছে, তা অকল্পনীয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, মানুষজন সেসব জায়গাতে আশানুরূপ রাস্তাঘাট পাননি”।
ইয়াহইয়া চৌধুরী বলেন, “দেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে বহু বছর সিলেটের রাজনীতিবিদরা ছিলেন। কিন্তু, দুঃখজনকভাবে অন্যান্য জেলার মন্ত্রীরা দায়িত্বে গেলে নিজের জেলার উন্নয়ন করলেও সিলেট থেকে হওয়া মন্ত্রীরা সিলেটের উন্নয়নে নজর দেন না”। নারী উদ্যোক্তাদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, “সরকার চাইলে নারী উদ্যোক্তাদেরকে বিশেষ সহায়তা প্রদান করে তাদের ব্যবসায় উন্নতি ঘটাতে পারে, বিষয়টি স্বদিচ্ছার। স্বদিচ্ছা থাকলে অবশ্যই নারী উদ্যোক্তাসহ সকল ব্যবসায়ীদের সমস্যা সমাধান সম্ভব”।
মুহাম্মদ মুনতাসির আলী অভিযোগ করে জানান, “সিলেটে যেসব ব্যাংক রয়েছে, সেগুলো এ জেলার গ্রাহকদের থেকে ডিপোজিট গ্রহণ করলেও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করার জন্য তারা পর্যাপ্ত ঋণ সহায়তা দেন না”। নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে সরকারের উচিৎ ভারতের পশ্চিম বঙ্গের মত তাদেরকে ২৫ হাজার নগদ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ সহায়তা নিশ্চিত করা”।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে দর্শকরা সরাসরি আলোচকদের আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন এবং আলোচকরা তার উত্তর দেন। নিয়মিত উপস্থাপক জিল্লুর রহমান অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন।