সিলেটে উচ্ছ্বাস পুরস্কৃত হলেন মেয়র আরিফ

টাইম সিলেট ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৪০:২১,অপরাহ্ন ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | সংবাদটি ৪৩ বার পঠিতসিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় দলের কাছ থেকে পুরস্কার পেলেন সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। মে মাসে তিনি নির্বাচন না করার ঘোষণা দেন। এরপর থেকে আরিফকে নিয়ে গুঞ্জন ছিল সিলেটে। সহ-সভাপতি, যুগ্ম সম্পাদক পদে তাকে নিয়ে আলোচনা ছিল। শনিবার সকালে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক পত্রে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের ১০ নেতাকে পদোন্নতির বিষয়টি জানানো হয়। আর ওই পত্রে আরিফুল হক চৌধুরীকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা করা হয়।
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সদস্য ছিলেন আরিফুল হক চৌধুরী। ছাত্রদল থেকে বিএনপি’র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তিনি। ছিলেন সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। এরপর মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক হয়ে মহানগরের সভাপতি হন। এর আগে জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৩ সালের সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি’র সমর্থন নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন।
এরপর ২০১৮ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে নির্বাচন করে জয়লাভ করেন। গত জুনে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে অগ্নিপরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সমর্থন ছিল মেয়র পদে নির্বাচন করার। কিন্তু বিএনপি এই সরকারের অধীনে সব ধরনের নির্বাচন বর্জন করায় বেকায়দায় পড়েন। এ নিয়ে নানামুখী চাপের মুখে পড়েন তিনি। অবশেষে সিদ্ধান্ত নেন নির্বাচন না করার।
১৮ই মে সিলেটের রেজিস্ট্রারি মাঠে সভা থেকে নির্বাচন না করার ঘোষণা দেন। তখন থেকেই দলের ভেতরে পদোন্নতি নিয়ে গুঞ্জন দেখা দেয়। সিলেট বিএনপি’র নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন- আরিফুল হক চৌধুরী এখনো মেয়র থাকলেও তিনি দলে পুরোপুরি অ্যাক্টিভ হয়েছেন। এমনকি ঢাকার কর্মসূচিতে তার সক্রিয় উপস্থিতি রয়েছে। সিলেটে দলীয় কর্মসূচি পালনে তিনি ভূমিকা রাখছেন। গতকাল দলের পক্ষ থেকে পদোন্নতির ঘোষণা দেয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানিয়েছেন- দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। দলের দেয়া দায়িত্ব পালনে পূর্বের ন্যায় এবারো জাতীয়তাবাদী আদর্শের বাতিঘর বিএনপি’র সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সার্বিক সহযোগিতা পাবো প্রত্যাশা করি। তিনি বলেন- দলের সার্বিক কর্মকাণ্ডে তার সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন।
দলকে চাঙা করার পাশাপাশি রাজপথের আন্দোলনে ভূমিকা রাখবেন বলেও জানান। এদিকে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হওয়ায় খুশি সিলেটের অনুসারীরা। গতকাল বিকালে সিলেট নগরীতে তারা আনন্দ মিছিল করেছে। ওই আনন্দ মিছিল থেকে দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানানো হয়। এদিকে আরিফুল হক চৌধুরী ছাড়া সিলেটে আরও কয়েকজন উপদেষ্টা রয়েছেন। তবে স্থায়ী কমিটির সদস্য, সহ-সভাপতি, যুগ্ম মহাসচিব পদে সিলেট বিভাগের কোনো নেতা নেই।
এ নিয়ে সিলেট বিএনপিতে আক্ষেপ রয়েছে। তবে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাদের নেতৃত্বে সিলেট বিএনপি’র সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তারাই হচ্ছেন এখন সিলেট বিএনপি’র শীর্ষ নেতা। মেয়রের ঘনিষ্ঠজন জুরেজ আব্দুল্লাহ গুলজার জানিয়েছেন- দলীয়ভাবে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর পদোন্নতির খবরে বিকাল ৩টায় তার অনুসারীরা নগরের কুমারপাড়া এলাকায় জড়ো হন। ওখানে তারা মিষ্টিমুখ করেন। পরে সেখান থেকে বিএনপি নেতা সালেহ আহমদ খসরু ও দিনার খান হাসু নেতৃত্বে মিছিল বের করা হয়। তার আগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সালেহ আহমদ খসরু বলেন- তারেক রহমান সিলেট বিএনপিকে শক্তিশালী করার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
সে লক্ষ্যে বাংলাদেশের জননন্দিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে বিএনপি’র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এটি আমাদের জন্য আনন্দের খবর। আরিফুল হক চৌধুরী বিএনপি’র একজন সেনাপতি হিসেবে আগামী দিনের আন্দোলনে যুগোপযোগী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন। এদিকে র্যালিটি নগর প্রদক্ষিণ করে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।