পয়েন্টে পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা: সিলেটে তবুও বেপরোয়া সিএনজি অটোরিক্সা ছিনতাইকারীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:২৭:৩৯,অপরাহ্ন ১২ অক্টোবর ২০১৯ | সংবাদটি ৫৬২ বার পঠিতদেশের একমাত্র ডিজিটাল নগরী সিলেট নগরী ও শহরতলীর খাদিমপাড়া এলাকায় চলছে সিএনজি অটোরিক্সা দিয়ে নিরব ছিনতাই ও নানা অপরাধ। হেনেস্তা হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার পরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এই ছিনতাই চক্রটি।
ছিনতাইকারীরা কৌশলে সিলেটে আসা বিভিন্ন জেলার সাধারন মানুষকে সিএনজি অটোরিক্সায় তোলে হাতিয়ে নিচ্ছে সবকিছু। মুল্যবান জিনিষপত্র টাকা পয়সা খুইয়ে লোকজন থানায় গিয়ে করছেন সাধারণ
ডায়েরী । এরকম অনেক সাধারন ডায়েরী (জিডি) পড়ে আছে এসএমপির বিভিন্ন থানায়।
ছিনতাইকারীরা নগরীর কোর্ট পয়েন্ট, আম্বরখানা, বন্দরবাজার ও সুরমা মার্কেটের সামন থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ পয়েন্টে দুর দুরান্ত থেকে আসা মানুষের সব কিছু কেড়ে নিচ্ছে অপরাধীরা ।
বিভিন্ন সময় প্রশাসনের অভিযানে দু-একজন ছিনতাইকারী আটক হলেও তাদের কোর্ট থেকে জামিনের মাধ্যমে ছাড়িয়ে আনেন এসব ছিনতাই চক্রের মূল হোতারা। আর এসব ছিনতাইকারীর রাঘব বোয়লরা ধরা না খাওয়াতেই ক্রমান্নয়ে সক্রীয় হয়ে উঠছে তারা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শহরতলীর মেজরটিলার বাসিন্দা সিএনজি অটোরিক্সা চালক সাজু ও তার সহযোগি জগন্নাথপুর এলাকার সফিক ও তার ভাই আনোয়ার, গংগানগর এলাকার জাওয়াদ, ঘাসিটুলা এলাকার রফিক উল্লা, মেডিকেল রোডের আশিক, মেজরটিলা এলাকার সিএজি চালক জামিল, পিরের বাজারের আজিম, খাদিম পারার উজ্জল, বর্তমানে ছিনতাই মামলায় কারাবন্দি আব্দুল হালিম ও তার ভাগনে সুনামগঞ্জের রহমান বেস ধাপটের সাথে নগরীতে ছিনতাই করে আসছেন। এরা একটি সিএজি অটোরিক্সায় তিন থেকে চারজন থাকেন। একজন চালক আর অন্যরা যাত্রিসেজে লোকদের গন্তব্যে পৌছানোর জন্য সিএজিতে তোলে নিয়ে যায় তাদের সুবিধামতো মালামাল লুট করার জন্য বিভিন্ন নিরব স্থানে। তাদের লুন্ঠিত মালামালও বিক্রয় করার জন্য রয়েছেন একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট।
নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সিসি ক্যমেরা থাকায় এই ছিনতাইকারী চক্রটি এমন কৌশল অবলম্বন করেছে বলে অনেকের ধারনা।
গত কিছুদিন পূর্বে উপশহর এর বাসিন্দা জনৈক এক ব্যক্তি নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে একটি সিএজি অটোরিক্সায় উঠেন উপশহর যাওয়ার উদ্দেশ্যে। ঐ সিএজিটিতে আগে থেকে বসে ছিলেন কয়েকজন যুবক। সোবহানীঘাট কাচাবাজার এলাকায় পৌছামাত্র দু’দিক থেকে ঐ যুবকরা ছুরি ধরে তার সাথে থাকা মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে তাকে সিএনজি থেকে দাক্ষা দিয়ে ফেলে দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।
এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুসার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- আমরা এধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে এজন্য নগরীর বিভিন্ন সিএনজি অটোরিক্সা স্ট্যান্ডে জনসচতনতা মূলক কার্যক্রম করেছি। আর নগরীতে আমাদের চেকপোস্টও রয়েছে। তিনি বলেন এসব ছিনতাইকারীদের রুখতে এসএমপির পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে।
গত কিছুদিন পূর্বেও এক চিকিৎসককে ছুরিকাঘাত করে সবকিছু নিয়ে যায় এক ছিনতাইকারী। ঘটনার ২ ঘন্টার মাথায় আমাদের পুলিশ সদস্যরা ঐ ছিনতাকারীকে গ্রেফতারে সক্ষম হয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এমন ঘটনার সম্মুখীন হলে কেউ যদি সাথে সাথে ৯৯৯ নাম্বরে কল দেন তাহলে আমরা হয়ত ছিনতাইকারীদের ধরতে সক্ষম হব।